পাচার হওয়ার আগে দুর্লভ প্রজাতির পাইথন (puthon) এবং তিনটি কিং কোবরা (king cobra) উদ্ধার করল বনদফতরের (forest department) অফিসার এবং কর্মীরা। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে বন দফতর।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (maldah) গাজোল থানা এলাকায়। ধৃতকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ধারায় মামলা রুজু করে মালদহ আদালতে তুলেছে বনদফতরের তদন্তকারী কর্তারা। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি বিরল জাতের কিং কোবরা এবং একটি দুর্লভ প্রজাতির পাইথন। এগুলিকে নিয়ে পাচারের চেষ্টা করেছিল ধৃত ওই ব্যক্তি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় গাজোল ফরেস্ট রেঞ্জের বনদফতরের কর্মীরা। এরপরই হাতেনাতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
বনদফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মাজিদ বেদে। তার বাড়ি মালদার চাঁচোল থানার কান্ডারণ গ্রামে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বিভিন্ন বনজঙ্গল থেকে সাপ ধরে এরা গ্রামীণ এলাকায় খেলা দেখিয়ে থাকে। তবে পাইথন জাতের সাপ সচরাচর মালদাহে দেখা যায় না। এই জাতের সাপটিকে কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গাজোল ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সুদর্শন সরকার জানিয়েছেন, ‘উদ্ধার হওয়া বিষধর তিনটি কোবরা এবং পাইথন সাপটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে আদিনা ডিয়ার ফরেস্টে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পাইথনটির বয়স কম। ওটির পাশাপাশি বাকি তিনটি কিং কোবরা ধৃত ব্যক্তি কোথা থেকে ধরে এনেছিল সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হচ্ছে। তবে এগুলি দুর্লভ প্রজাতির সাপ। মূলত সাপ খেলা দেখানোর জন্যই সেগুলি সংগ্রহ করেছিল । পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ভারতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ধারায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।’
সম্প্রতি গ্রামীণ হাওড়ার চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া এসে সচেতনতার পরিচয় দিয়ে বাঁচায় ছয়টি পিকক সফট সেল টারটেল। পরিবেশ কর্মী সৌরভ দোয়ারী জানিয়েছিলেন, ‘হাওড়ার আমতার এক গ্রাম থেকে ক্লাস ফোরের ছাত্র শেখ আরমান বাড়ির কিছু দূর থেকে উদ্ধার করে এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপগুলিকে। এগুলিকে গ্রামবাসীরা কেউ কেউ মেরে ফেলতে চাইছিল আর কেউ কেউ একোরিয়ামে পুষতে চাইছিল। সে তাদের থেকে উদ্ধার করে। তারপর তার গৃহশিক্ষকের মাধ্যমে খবর দেয় হাওড়া জেলার দীর্ঘদিনের পরিবেশকর্মী প্রদীপ রঞ্জন রিতকে। প্রদীপবাবু সবগুলো উদ্ধার করেন। ইতিমধ্যে আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয়, আমি পৌঁছে গ্রামীণ হাওড়া পরিবেশ মঞ্চের সাহায্যে বনদফতরে খবর দেওয়া হয়। প্রথম থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল বাছাগুলিকে পুনরায় তাদের পূর্বের পরিবেশে বা তার আশপাশেই ফেরানো হবে। শেষে বনদফতরকে জানিয়ে তাই করা হয়।’