ধানক্ষেতের পাশে পড়ে এক মহিলার দেহ। শরীরের বেশির ভাগ জায়গায় কাটাছেঁড়ার দাগ। অ্যাসিডে ঝলসানো মুখ। তাই চেনার উপায় নেই। রবিবার সকালে এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদার বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় সেই দেহ। অনুমান করা হচ্ছে, গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। স্বাভাবিক ভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার কুশিদার একটি ধানজমির পাশে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন। কাছে গিয়েই চমকে যান তাঁরা। দেখা যায়, ওই মহিলার দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। আর মুখটা বিকৃত হয়ে গিয়েছে। অ্যাসিড হানা হলে যেমনটা হয়, সে ভাবেই ঝলসে গিয়েছে ওই মহিলার মুখ। ফলত, তাঁকে কেউ চিনতে পারেননি। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশ। দেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায়, দেহের আশপাশেই পড়ে রয়েছে নিরোধের প্যাকেট। সেখান থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
বস্তুত, হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কিছু দূরেই বিহার এবং বাংলার সীমান্ত এলাকা। ওই মহিলা স্থানীয় কেউ না কি, ভিন্রাজ্যের বাসিন্দা, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।