শ্রীনগরে গুলিতে মৃত্যু শীর্ষ লস্কর জঙ্গির, নিকেশ পাক সন্ত্রাসীও

 শ্রীনগরের উপকণ্ঠে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কম্যান্ডার নাদিম আব্রার। এনকাউন্টারে খতম হয়েছে একজন পাকিস্তানী সন্ত্রাসবাদীও। সোমবারই শ্রীনগরের পারিমপোরা থেকে আব্রারকরে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথবাহিনী। গুলির লড়াইয়ে জখম হয়েছেন ৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান। মঙ্গলবার সকালে কাশ্মীরের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজিপি) বিজয় কুমার জানিয়েছেন, “সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল লস্কর কম্যান্ডার আব্রারকে, জেরা করার সময় সে জানায় একটি বাড়িতে নিজের একে-৪৭ রাইফেল লুকিয়ে রেখেছে। রাইফেল উদ্ধার করার জন্য সুরক্ষা বাহিনী ওই বাড়িতে পৌঁছনো মাত্রই, ভিতর থেকে তার একজন সহযোগী (পাক জঙ্গি) গুলি চালাতে শুরু করে।” আইজিপি জানিয়েছেন, “সুরক্ষা বাহিনী যোগ্য জবাব ফিরিয়ে দিলে নিকেশ হয় ওই পাকিস্তানী জঙ্গি, এনকাউন্টারে আব্রারের মৃত্যু হয়েছে। এনকাউন্টারস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি একে-৪৭ রাইফেল। সুরক্ষা বাহিনী ও সাধারণ নাগরিক খুনে জড়িত ছিল আব্রার।”
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার পারিমপোরা এলাকায় তল্লাশি চালায় যৌথবাহিনী। জাতীয় সড়কে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা এমন খবর পাওয়ার পরই নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময় একটি গাড়িকে তারা আটকায়। সওয়ারিদের পরিচয় জানতে চায় পুলিশ। সেই সময় গাড়ির পিছনের আসনে বসে থাকা আরোহী ব্যাগ খুলে গ্রেনেড বার করে। সেটা নজরে আসতেই পুলিশ ওই ব্যাক্তিকে এবং গাড়িচালককে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে ধৃত ব্যক্তি লস্কর নেতা নাদিম আব্রার। আব্রারকে জেরা করে মালুরা এলাকার একটি বাড়ির খোঁজ পায় পুলিশ। তবে সেখানে যে তার আরও সঙ্গী লুকিয়ে আছে সে কথা গোপন রাখে আব্রার। তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারে যায় যৌথবাহিনী। বাড়ির ভিতরে ঢুকতে গেলেই যৌথবাহিনীর উপর হামলা চালায় ওই বাড়িতে লুকিয়ে থাকা আব্রারের সঙ্গী। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। আব্রারের সঙ্গী নিহত হয় বাহিনীর গুলিতে। সেই সংঘর্ষে নিহত হয় আব্রারও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.