বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ? হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও আত্মসমপর্ণ করেননি অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা। উল্টে নির্যাতিতার বাড়িতে নাকি ইটবৃষ্টি করেছেন তিনি, সঙ্গে হুমকিও! আতঙ্কে এবার বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনাস্থল, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই নেতার নাম শুভদীপ গিরি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাকি ধর্ষণ করেছেন নাবালিকাকে! গত ১০ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় কাঁথি থানায়। অভিযোগকারীর দাবি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূল ছাত্রনেতাকে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এমনকী, নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে পুলিসি নিরাপত্তাও দিতে বলেছে আদালত। তাহলে? নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) রাতে দুষ্কৃতীদের দ্বারা আমরা আক্রান্ত হই। জানলায় ঢিল মেরেছে, ছাদের ইট পড়েছে, সামনে ইট পড়েছে। আমরা খুবই অসহায়। আমরা এখানে থাকব না’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘২৫-৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে’।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন নির্যাতিতা ও পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিস। বাড়ির সামনে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় নজরদারিও চালানো হচ্ছে বলে খবর।
এর আগে, পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীর দাবি, গ্রুপ সি অথবা গ্রুপ দি পদের চাকরির জন্য অভিযুক্তকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি তো দূর অস্ত, সে বছরের জুলাই মাস থেকে তাঁর সঙ্গে বারবার সহবাসে লিপ্ত হন ওই তৃণমূল নেতা। এরপর যখন ওই মহিলা অন্তঃস্বত্ত্বা হন, তখন পেটে লাঠি মেরে গর্ভস্থ সন্তানকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।