জেপি নাড্ডা, কৈলাশ বিজয়বর্গীর কনভয় – তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী

বর্ষীয়ান নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীর কনভয় আটকে দিল তৃণমূলের কর্মীরা। এখনো অবধি আমরা যা জানি, তা নিম্নে লিপিবদ্ধ করা হল:

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় ওয়াটগঞ্জ এলাকায় একটি পথসভার সময় বিজেপি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গী, জাতীয় সহ সম্পাদক মুকুল রায় এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং – এর কনভয় আটক করা হয়েছিল।

এই ঘটনাটি ঘটেছিল একটি পথসভার সময়, যা কোলকাতায় অরফানগঞ্জ রাস্তা থেকে বিজেপি সদর দপ্তর পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। যাইহোক, যখন মিছিলটি ওয়াটগঞ্জ এলাকা অতিক্রম করে গিয়েছিল, তখন তাঁদের কনভয়ের দিকে প্রচুর পাথর ও জুতো নিক্ষেপ করা হয়েছিল পার্শ্ববর্তী একটি মঞ্চ থেকে। খবর পাওয়া যায় যে এই কারণেই পুলিশ অনুমতি দিতে নারাজ ছিল এবং তাই পথসভাটিকে কাটছাঁট করে ছোট করা হয়। পুলিশ উত্তাল জনতাকে উভয় পক্ষ থেকেই শান্ত করার চেষ্টা করে গেছেন এবং অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিলেন।

বিজেপি প্রধান (পশ্চিমবঙ্গের) পূর্বে বলেছিলেন যে গেরুয়া দল মিছিল বার করবেই, তা সে পুলিশ অনুমতি দিক বা না দিক। কারণ বিজেপির জন্য অনুমতি মঞ্জুরের ক্ষেত্রে  পুলিশের গররাজি হওয়ার পূর্ব ইতিহাস আছে।  তা সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃবৃন্দ রবিবার নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাসস্থানে সম্মিলিত হয়েছিলেন এবং পথসভা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।

এই আক্রমণের সময় কৈলাস বিজয়বর্গীর সামান্য কিছু চোট লেগেছিল। তিনি বলেন যে পথসভাটি হেস্টিংস পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছিল কারণ আলিপুর থেকে সেন্ট্রাল কোলকাতা পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি মঞ্জুর ছিল না। তিনি আরো বলেন, “যাইহোক, কিছু তৃণমূল কর্মী আমাদের দিকে জুতো ও পাথর নিক্ষেপ করে। আমাদের কর্মীরা সংযম প্রদর্শন করেছিল কারণ আমরা উস্কানিতে সাড়া দিতে চাইনি. আমরা হিংসার জবাব হিংসা দিয়ে দেব না. আমরা ভোটের মাধ্যমে জবাব দেব”।

জেপি নাড্ডা, কৈলাশ বিজয়বর্গীর কনভয় তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী আক্রমণ করেছিল

গত মাসে জেপি নাড্ডা এবং কৈলাশ বিজয়বর্গীর কনভয়ের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল যখন বর্ষীয়ান নেতারা দলের পদালীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ডায়মন্ড হারবারের অভিমুখে যাচ্ছিলেন।  ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় যে আন্দোলনকারীরা তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা বহন করছিল এবং তারা কৈলাশ বিজয়বর্গীর গাড়িতে পাথর ও ইঁট ছুঁড়ছিল. এই সময় রাজ্য পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিল।

বিজয়বর্গী সেই একই ভিডিও দেখান যেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, যে গাড়িতে তিনি ভ্রমণ করছিলেন, তার কাচ ইঁটের টুকরো ছুঁড়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।  তিনি এই আক্রমণটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অধীনে কর্মরত কোলকাতা পুলিশের চরম ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেছেন। একটি জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এই আক্রমণের অত্যন্ত নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে তাঁদের রক্ষা পাওয়ার একমাত্র কারণ হল, তাঁরা বুলেট-নিরোধক যানবাহন ব্যবহার করছিলেন।  তিনি আরো বলেন যে, বাংলায় কোনো প্রশাসন বা আইন-কানুন নেই।

Ankusha

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.