সভা আমরা করবোই। পুলিশের কত ক্ষমতা আছে আটকে দেখাক। এভাবেই রাজ্য পুলিশের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। আজ হুগলির ব্যান্ডেল মোড়ে রাজ্য সভাপতির পূর্বনির্ধারিত সভাকে অনৈতিকভাবে পুলিশ বাতিল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
পুলিশ এসে বিজেপির মঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ দিতেই যুব মোর্চার নেতা কর্মীদের সাথে বচসা বাধে। সেই ঘটনার ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে পুলিশকে চটি বাহিনী বলে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন,
” জঙ্গি সংগঠনের মডিউল খুঁজতে ব্যর্থ কিন্তু বিরোধীদের বাধা দিতে সিদ্ধহস্ত। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীর মদতপুষ্ট চটিবাহিনী পুলিশ ভাইপোর কর্মসূচি সফল করতে বিজেপির মঞ্চ খুলতে তৎপর।”
সভা করতে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, “আমরা সভা করব, পুলিশের কত ক্ষমতা আছে আটকাতে পারে দেখি।” তাঁর দাবি, তৃণমূল ভয় পাচ্ছে বিজেপি সভা করলে পরে তাদের যে জনসমর্থন রয়েছে তা বিজেপির দিকে চলে আসবে। তাঁর কথায় বিজেপির পাশে মানুষ আছে ওদের পাশে মানুষ নেই। ওদের হাতে আছে কয়েকটি গুন্ডা আর পুলিশ।
এরপরই তিনি বিজেপির সভা করার অনুমতি না দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়ে অভিযোগ করেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভার জন্য পুলিশ টোটো তে চড়ে অ্যানাউন্স করছে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। কোন আইনে হয়?” তিনি প্রশ্ন তোলেন, অভিষেকের জন্য যদি আইনের বাইরে গিয়ে এই ব্যবস্থা হয়, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে কিসের অনুমতি লাগবে?
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের দলদাস, এটা নতুন কিছু নয়। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক বড় সভা হচ্ছে, সেখানে পুলিশ মাইক নিয়ে অ্যানাউন্স করছে, বিকেল পাঁচটার পর যান চলাচল বন্ধ। এটা কি কোনো আইনে করা যায়? একজন জন জোয়ার না জন ভাটা করবেন বলে সাধারণ মানুষের টোটো রিক্সা দু চাকার সমস্ত যান চলাচল বন্ধ। সেখানে আমাদের একটা মন্ডলের কম লোক নিয়ে ছোট সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ।” তার হুঁশিয়ারি, “সম্পূর্ণভাবে দলদাসের পরিণত হয়েছে পুলিশ। এই পুলিশকে আমরা সোজা করে ছাড়বো, সেই সময় আসছে।”