দিল্লির তিহাড় জেলে এখন প্রায় ৭০০ জন বন্দি কাজে নিযুক্ত আছেন। জেলের ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় বানিওয়াল বলেছেন, জেলবন্দি আরও ১২০০ জন বর্তমানে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন।
তিহার জেলের সংস্করন নিয়ে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমরা কারাগারের অভ্যন্তরে নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের সহায়তায় দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি শুরু করেছি৷ এই কর্মসূচির অধীনে, প্রায় ৭০০ বন্দি হোটেলে কাজ পেয়েছে এবং ১,২০০ জন হাসপাতালে চাকরি পেতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।’
জেলের কর্মকর্তাদের মতে, কয়েদিদের (ইউটিপি) প্রশিক্ষণের জন্য কারাগারের অভ্যন্তরে একটি পরিকাঠামো সরবরাহ করা হয়েছে। প্রোগ্রামটি ২০২৩ সালের প্রথম দিকে চালু করা হয়েছিল। বানিওয়াল বলেন যে কয়েদিরা যখন তাঁদের সার্টিফিকেট এবং কাজ করার অফার লেটার পায়। তখন তাঁদের চোখ এবং মুখের উজ্জ্বল হাসি দেখার মত।
তিনি আরও বলেন যে, ‘জেলের ভিতর কয়েদিদের আধ্যাত্মিকতা কোর্স, ধ্যান এবং ব্যায়াম করানো হয়। এইসব করতে কয়েদিদের বাধ্য করা হয়। যাতে করে তারা তাদের অতীতের কুকর্ম ভুলতে পারে। এখানে তাদের জন্য অনেক কিছু আছে। অতীতের কথা ভোলানোর জন্য তাদের সেই ভুল গুলিকে লেখার ব্যবস্থা আছে। সেখানে তাদের এ-ও লিখতে হয় যে জেল থেকে বেরিয়ে তারা আর কোনও ভুল কাজ করবে না। এমনকি কয়েদিরা জেলের ভিতর প্রতিটি উৎসব উদযাপন করে। এছাড়া সেখানে জাতীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা করা আছে। যাতে করে তারা বাস্তবতা থেকে দূরে যেতে না পারে।’
বানিওয়াল জানিয়েছেন যে তিনি একটি ‘আফটার রিলিজ কেয়ার সেন্টার’ শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। যেখানে বন্দিদের জেল থেকে বেরিয়ে আসার পরে অনুসরণ করা হবে। এছাড়াও তিনি জেলের ভিতর বন্দিদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সমস্যার কথা শোনেন। সেটা শুনে সমাধান করার চেষ্টাও করেন।