বিঘার পর বিঘা জমির নাড়া পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া থেকেই বাতাসে বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। একেবারে জনবহুল এলাকার পাশেই চাষের জমিতে চলছে নাড়া পোড়ানোর কাজ। অস্বস্তি হচ্ছে নিঃশ্বাস নিতে, কিন্তু কাউকে কিছু বলার নেই। কেউ কিছু বলতে গেলেই জুটবে শাসানি, এমনটাই জানান এলাকাবাসী সুকুমার রুইদাস। ভয়ে চুপ সাধারণ মানুষ। তবে প্রশাসনের কোনো ভূমিকাই চোখে পড়ল না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত কেশপুর ব্লকের ৬ নম্বর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। যিনি নাড়া পোড়াচ্ছিলেন প্রথমে তো বুঝে উঠতে পারেননি, তবে ক্যামেরা দেখে দৌড়ে পালিয়ে যান। জানাগেছে, উনার নাম সন্তু ঘোষ। খুব বড় মাপের কৃষক।
এই কৃষক সন্তু ঘোষের বাড়িতেই কাজ করেন শঙ্কর রুইদাস। ভয়ঙ্কর অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রায় ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমির নাড়া এভাবেই পুড়িয়ে ফেলেছেন মালিক। নাড়া পড়ালে নাকি জমির উর্বরতা বাড়ে। উনার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ গ্রামের গরিব মানুষরা যদি ওই খড়কুটো চান, তাও তিনি দিতে চান না, অথচ পুড়িয়ে ফেলেন। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কেশপুরে এভাবেই চলছে দিনে দুপুরে দেদার নাড়া পোড়ানোর কাজ।