লক আপে তিন যুবককে পিটিয়ে হত্যা! ডিএসপি-সহ পুলিশের ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কোর্টের

পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তিন অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক-সহ মোট ন’জনকে দোষী সাব্যস্ত করল তামিলনাড়ুর আদালত। ন’জনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মোট অভিযুক্ত ছিলেন ১১ জন। বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে তেমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে তাঁদের বেকসুর খালাস করেছে আদালত।

১৯৯৯ সালের ঘটনা। তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনের থালামুথু নগর থানায় রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল ভিনসেন্ট, মুথু এবং মারিয়াদাস নামের তিন যুবকের। তাঁরা বিনয়গড় মন্দিরে একটি উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের কাছে বিস্ফোরক পদার্থ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। অভিযোগ, এর পর তিন জনের কেউ আর বাড়ি ফেরেননি। থানা থেকে তাঁদের পরিবারকে জানানো হয়, তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যুর খবর পেয়ে থানার সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ওই তিন জনের আত্মীয়-পরিজনেরা। ইনস্পেক্টর-সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অভিযোগ, থানায় যত পুলিশকর্মী ছিলেন, লক আপে ঢুকে সকলে মিলে ওই তিন জনকে মারধর করেন। ২৬ বছর ধরে তুতিকোরিন জেলা আদালতে এই সংক্রান্ত মামলা চলেছে। যে ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তিনি সেই সময়ে ওই থানার ইনস্পেক্টর ছিলেন। তাঁর নাম রামকৃষ্ণণ। বর্তমানে থুথুকুডি জেলার ডিএসপি তিনি।

তুতিকোরিন জেলা আদালত সম্প্রতি ডিএসপি-সহ ন’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তিন অভিযুক্তের মৃত্যুতে তাঁদের সরাসরি যোগ ছিল, আদালতে তা প্রমাণিত। দোষীদের মধ্যে ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আরও এক জন রয়েছেন। বাকিরা পুলিশের চাকরি থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দোষীদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও দিতে বলেছে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.