হাওড়া থেকে এ বার আরও কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে প্রতিবেশী রাজ্য বিহার এবং ওড়িশায়। রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে মোট ছ’টি বন্দে ভারত উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যে তিনটিই চলাচল করবে হাওড়া থেকে। হাওড়া থেকে একটি যাবে ওড়িশার রউরকেল্লা, একটি বিহারের ভাগলপুর এবং তৃতীয় বন্দে ভারতটি চলবে বিহারের গয়া পর্যন্ত। রবিবার এই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার-সহ রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা।
পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার টাটানগর থেকে এই ট্রেনগুলি উদ্বোধনের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া এবং দৃশ্যমানতা কম থাকায় আকাশপথে সেখানে পৌঁছতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন ছ’টি বন্দে ভারত ট্রেনের। নতুন এই বন্দে ভারত ট্রেনগুলি কমলা-সাদা রঙের। তিনটি হাওড়া থেকে চলাচল করবে। বাকি তিনটি টাটানগর-পটনা, ব্রহ্মপুর-টাটানগর এবং দেওঘর-বারাণসী রুটে যাতায়াত করবে। চলতি বছরের শেষ দিকে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তিনটি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন পেল এই রাজ্য। এই নিয়ে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ছ’টি নতুন বন্দে ভারত, ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প, যাতায়াতের সুবিধা বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় হাজার হাজার জনকে পাকা বাড়ি, এই সব প্রকল্পের জন্য ঝাড়খণ্ডের মানুষকে অভিনন্দন জানাই।’’ রবিবার ঝাড়খণ্ডে রোডশো করার কথা ছিল মোদীর। যদিও ভারী বৃষ্টির কারণে তা বাতিল হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি সুবিধা পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গবাসীও। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘অনেক কম সময়ে যাত্রীরা এই ট্রেনে চেপে গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন। অন্য রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ এবং যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে। এতে কাজের সুযোগ বাড়বে।’’ এর পরেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এই সুযোগ রাজ্য সরকার কতটা নিতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। রাজ্য সরকারের কোনও আগ্রহ চোখে পড়ছে না।’’
বর্তমানে হাওড়া থেকে তিনটি বন্দে ভারত চলে। একটি নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এবং আর একটি ওড়িশার পুরী এবং তৃতীয়টি বিহারের পটনা পর্যন্ত। এ ছাড়াও নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত একটি বন্দে ভারত চলে। চাহিদার এবং যাত্রী পরিষেবায় আরও স্বাচ্ছন্দ্য আনতে তাই এ বার হাওড়া থেকে আরও তিনটি পথে বন্দে ভারত চালু করল রেল।