করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার নতুন করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকেই সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর আসছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত দু’সপ্তাহে কোভিড বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকখানি। ১৫ দিনে প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেড়েছে করোনা।
গত দু’সপ্তাহে ১০ শতাংশ বা তার বেশি সংক্রমণের হারযুক্ত জেলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২। মাত্র ১৫ দিন আগেই দেশের ৫ রাজ্যের ৯টি জেলায় করোনা সংক্রমণ ছিল ১০ শতাংশের বেশি। সংক্রমণের হারে এই আচমকা বৃদ্ধি উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৬৩টি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে ছিল। দু’সপ্তাহ আগে এই সংখ্যাই ছিল মাত্র ১৫। দিল্লি, কেরল, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার অন্য রাজ্যের চেয়ে বেশি রয়েছে। গত দু’দিনে দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যানও ছিল উদ্বেগজনক। পর পর দু’দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৮০০-র গণ্ডি। শীঘ্রই তা ২০০০ ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরাও। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশ জুড়ে কোভিডের মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। অনুষ্ঠিত হবে মহড়া। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে মহড়ার আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মর্মে রাজ্যগুলির কাছে নির্দেশিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে করোনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগের সপ্তাহেই সংখ্যাটি ছিল ১৯। ফলে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মাস্ক, স্যানিটাইজারের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী দিনে নতুন করে অতিমারির পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যা, ওষুধপত্র, অক্সিজেন এবং আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে কি না, যাচাই করে দেখা হবে এপ্রিলের মহড়ায়।