এবার ভারতে বসেই অক্সফোর্ড, স্ট্যানফোর্ড, হাভার্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেতে চলেছে দেশের মেধাবী ছাত্ররা

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় সংস্কারের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। দু’বছর আগেই জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া তৈরি হয়েছে। তাতে স্কুল স্তরে সিলেবাস থেকে শুরু করে মূল্যায়নের পদ্ধতি সব ক্ষেত্রেই বদল আনা হয়েছে। সেটা এখনো পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে কার্যকর না হলেও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নয়া প্রস্তাব আনতে চলেছে। এবার অক্সফোর্ড হাভার্ডের মতো বিশ্ব বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস তৈরি হবে আমাদের দেশেই।

কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নিয়ে এই প্রসঙ্গে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলেই অনেকটা কম খরচে বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ পাবেন এদেশের পড়ুয়ারা। পাশাপাশি ওইসব প্রতিষ্ঠানের
সার্টিফিকেটও পাবে তারা।

অক্সফোর্ড, স্টানফোর্ড, হাভার্ড কিংবা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন থাকে বহু পড়ুয়ার। মেধা আর যোগ্যতায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পরেও সেখানে যাওয়ার খরচ নিয়ে ভাবতে হয় পড়ুয়াদের। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই মধ্যবিত্ত উচ্চ মেধার বহু পড়ুয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যায়।

সেই সব পড়ুয়াদের কথা ভেবেই এবার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইউজিসি। বিদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলার পর তাদের ক্যাম্পাস এবার তৈরি হতে চলেছে ভারতের মাটিতে। মেধাবী পড়ুয়ারা সহজে কম খরচে উচ্চমানের শিক্ষা লাভ করতে পারবেন। ইউজিসির চেয়ারপার্সন এম জগদীশ কুমার ঘোষণা করেছেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরির ব্যাপারে একটি খসড়া তৈরি হয়েছে যা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র অংশ। ইউজিসি অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই কাজ করতে আগ্রহী। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কিভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ভর্তি হবে সেই পদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই পদ্ধতির প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির চেয়ারপার্সন।

আমেরিকার রিয়েল, স্ট্যানফোর্ড, হাবার্ড ও ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বা কিংস কলেজের ক্যাম্পাস তৈরি হতে পারে ভারতে। এগুলি সবই হবে স্বায়ত্তশাসিত। প্রয়োজনে স্কলারশিপ দেওয়া হবে। তবে সংরক্ষণের ভিত্তিতে ভর্তির বিষয়টি ইউজিসি নিজেদের হাতে রাখেনি। বলা হয়েছে যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে তবে সংরক্ষণের নিয়ম চালু করতে পারে। তবে ইউজিসির এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে দেশের মেধাবী পড়ুয়াদের কাছে বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের পথ অনেকটাই যে প্রশস্ত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.