এবার মহেশতলা, আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে ৪৬ হাজার টাকা খোওয়ালেন পৌঢ়

আধার কার্ডের বায়োমেট্রিকে প্রতারণার ফাঁদ প্রতারকদের নয়া কারসাজি। আর এই প্রতারণা চক্রই এখন পুলিসের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহর থেকে জেলা সর্বত্র জাল বিছিয়ে রয়েছে সাইবার প্রতারকরা। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শহর থেকে জেলা উঠে আসছে একই অভিযোগ, আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে হারাচ্ছেন জমানো টাকা। এবার মহেশতলায় আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে ৪৬ হাজার টাকা খাওয়ালেন এক পৌঢ়। 

মহেশতলায় মণীন্দ্রচন্দ্র ভাওয়াল নামে এক ব্যক্তি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেছে ৪৬ হাজার টাকা। আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৬ হাজার টাকা ডেবিট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওই পৌঢ়ের। অভিযোগ এসএমএসের মাধ্যমে মনিন্দ্র বাবু জানতে পারে সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়  নামে দুই ব্যক্তির একাউন্টে ৪৬ হাজার টাকা গিয়েছে। পরবর্তীকালে মণীন্দ্রবাবু ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট লক করা হয়। ব্যাংক থেকে বলা হয় আধার কার্ডের বায়োমেট্রিকের মাধ্যমেই আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট হয়েছে।

এরপর মহেশতলা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। মণীন্দ্রবাবু জানান, তিন থেকে মাস আগে আলিপুরে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে বায়োমেট্রিক দিয়েছিলেন এবং রেশন দোকানে রেশন তুলতে গেলে বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেন। এরপর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন মণীন্দ্রবাবু। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও রাজ্যের মানুষ শিকার হয়েছেন এই সাইবার প্রতারণার। হয়ে চলেছেন বলা ভালো। 

 এমনই প্রতারণার শিকার উলুবেড়িয়ার বাসুদেবপুরের শুড়িখালির বাসিন্দা জয়দেব কামলে। ১৬ সেপ্টেম্বর জয়দেব বাবু তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। দেখা যায় ১০ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ জয়দেববাবুর দাবি, তিনি কোনও টাকাই তোলেননি। তাহলে টাকা তুলল কে? কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হল, সে বিষয়ে এখন তিনি পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি জানান, উলুবেড়িয়ার খলিশানিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.