গাজ়ায় এ বার ‘জল ভরো’ অভিযানে ইজ়রায়েল? হামাসের সুড়ঙ্গ ভাসিয়ে দিতে ভরসা ভূমধ্যসাগর

গাজ়া ভূখণ্ডে সুড়ঙ্গের ডেরা থেকে হামাস যোদ্ধাদের উৎখাত করতে নয়া পরিকল্পনা করেছে ইজ়রায়েল সেনা। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভূমধ্যসাগর থেকে বিপুল পরিমাণ জল ঢুকিয়ে সুড়ঙ্গে আত্মগোপনকারী হামাস বাহিনীকে বাইরে আনার একটি নকশা তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই।

প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ গাজ়া উপকূলের একাংশ ইজ়রায়েল নৌসেনার দখলে রয়েছে। সেখান থেকেই হতে পারে এই ‘জল ভরো’ অভিযান। টানা ২০ দিন ধরে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চললেও এখনও গাজ়ায় পুরোদস্তুর ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরু করেনি ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। তবে কয়েকটি সুড়ঙ্গের মুখের কাছে তারা পৌঁছে গিয়েছে।

সূত্রের খবর, বার বার তেল আভিভ হামাসের হাতে পণবন্দিদের উদ্ধারের জন্য স্থলপথে অভিযানের কথা বললেও তাদের সামনে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে গাজ়ায় হামাসের বানানো সুড়ঙ্গ-জাল। একাধিক স্তরে বিন্যস্ত প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের এই সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করেই ইজ়রায়েল ফৌজের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত চালাচ্ছে হামাস বাহিনী। পাশাপাশি, তাদের অস্ত্র, বিস্ফোরক, জ্বালানি এবং খাদ্যের মজুতও রয়েছে ওই সুড়ঙ্গগুলিতে।

কয়েকটি রিপোর্টে দাবি, ওই সুড়ঙ্গপথগুলির মুখ কোথাও গাজ়ার বাসিন্দাদের ঘরে, কোথাও কোনও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে, কোথাও সরকারি দফতরে, এমনকি হাসপাতালেও। সেই সুড়ঙ্গ নাকি সীমান্ত পেরিয়ে এক দিকে মিশর এবং অন্য দিকে ইজ়রায়েল পর্যন্ত বিস্তৃত। আর এই কারণেই ইজ়রায়েলি সেনা হামাসের এই সুড়ঙ্গ জালকে ‘গাজ়া মেট্রো’ও বলে থাকে। গড়ে আড়াই মিটার উঁচু এবং এক মিটার চওড়া ওই সুড়ঙ্গগুলি গত ২০ দিনের ধারাবাহিক আকাশ-হামলাতেও তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে প্যালেস্তিনীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি। এই পরিস্থিতিতে তেল আভিভের ভরসা তাই ভূমধ্যসাগরের জল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.