নির্বাচনী আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২১ সংসদে পাস হল রাজ্যসভায়। আগেই এই বিল পাশ হয়েছিল লোকসভায়। তাই এবার রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর তা আইনে পরিণত হবে। উল্লেখ্য, এই বিলে প্রস্তাবনা নিয়ে আপত্তি ছিল বিরোধীদের। ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করার বিরোধিতা করে সংসদে সরবও হয়েছিলেন বিরোধীরা। তবে শেষ পর্যন্ত হট্টগোলের মাঝেই সেই বিল দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গেল।
এই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, পরিচয় প্রমাণের জন্য ভোটার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য রেজিস্ট্রেশন অফিসার আধার কার্ডের নম্বর চাইতে পারেন। সোমবার লোকসভায় সেই বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সেদিনই বিলটি পাশ হয় সংসদের নিম্ন কক্ষে। আর আজ এই বিলটি অনুমোদিত হল রাজ্যসভায়। আইন মন্ত্রীর দাবি, এই সংশোধনীর মাধ্যমে ভুয়ো ভোটে রাশ টানা সম্ভব হবে। এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা আসবে বলে দাবি করেন তিনি। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
যদিও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি দাবি করতে থাকে, সেই সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, বিরোধীরা যে অভিযোগ করছেন, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এই আবহে মঙ্গলবার ভারতীয় জনতা পার্টির সংসদীয় দলের সভায় নির্বাচনী আইন (সংশোধনী) বিলের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে দলীয় সাংসদদের বোঝান কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। পরে সেটি সংসদের উচ্চকক্ষে পাশ হয় বিলটি।