৪৩ বছর ১১ মাস বয়সে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন রোহন বোপান্না। অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড় ম্যাথু এবডেনকে সঙ্গী করে ইটালির প্রতিপক্ষদের হারিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। টেনিসের দুনিয়ায় সব থেকে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসাবে পুরুষদের ডাবলসে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন বোপান্না। অথচ এই বোপান্নাই পাঁচ বছর আগে অবসর নিতে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হাল ছাড়েননি তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে আর বয়সকে বয়স হিসাবে দেখছেন না বোপান্না। তাঁর কাছে এখন বয়স এক একটা ধাপ।
পুরুষদের ডাবলসে নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পরে বোপান্না যখন কথা বলতে ওঠেন তখন গ্যালারিতে ভারতমাতার নামে জয়ধ্বনি ওঠে। বেশ কয়েক সেকেন্ড কথা বলতে পারেননি বোপান্না। জয়ধ্বনি শেষ হওয়ার পরে বোপান্না প্রথম কথাই বলেন বয়স নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘সবাই এখন জেনে গিয়েছে যে আমার বয়স ৪৩ বছর। কিন্তু আমি বয়সকে একটু অন্য ভাবে ভাবতে চাই। আমার কাছে বয়স এক একটা ধাপ। সবে ৪৩ ধাপ হয়েছে। এ বার ৪৪তম ধাপ শুরু করব।’’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য নিজের সঙ্গী এবডেন ও তাঁর পুরো কোচিং দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফিজিয়ো রেবেকাকে। এই বয়সেও তাঁকে ম্যাচ ফিট রাখার জন্য আলাদা করে তাঁর প্রশংসা করেছেন বোপান্না।
ফাইনালে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন বোপান্নার স্ত্রী সুপ্রিয়া, কন্যা ত্রিধা এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বোপান্না। মজাও করেছেন ভারতীয় তারকা। বোপান্না বলেন, ‘‘শেষ বার আমার শ্বশুর-শাশুড়ি যখন আমার খেলা দেখতে এসেছিল আমি মিক্সড ডাবলস জিতেছিলাম। এ বার পুরুষদের ডাবলস জিতলাম। জানি না, কেন ওরা বার বার আমার খেলা দেখতে আসে না।’’
২০১৯ সালে কেরিয়ারের খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন বোপান্না। সেই সময় তিনি অবসরের কথাও ভেবেছিলেন। বোপান্না বলেন, ‘‘২০১৯ সালে পায়ের চোট আমাকে খুব ভুগিয়েছিল। ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলতাম। পাঁচ মাস একটাও ম্যাচ জিততে পারিনি। তখন ভেবেছিলাম অবসর নেব। কিন্তু লড়াই ছাড়িনি। তরুণদের এই বার্তাই দিতে চাই। লড়াই ছেড়ো না। হতাশ হয়ো না। পরিশ্রমের দাম পাবেই।’’