এখনও বিতর্ক থামেনি সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচ নিয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলারের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছিলেন সূর্য। সেই ক্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারতে হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সূর্যের সেই ক্যাচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদপত্র। তাদের পাল্টা জবাব দিয়েছেন সুনীল গাওস্কর। নিজেদের দলের দিকে তাকাতে বলেছেন গাওস্কর।
ফাইনালে শেষ ওভারে জিততে ৬ বলে ১৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। হার্দিক পাণ্ড্যের প্রথম বলেই ছক্কা মারার চেষ্টা করেন মিলার। বল লং অফ বাউন্ডারিতে যায়। সূর্য ছুটে গিয়ে বল তালুবন্দি করেন। কিন্তু শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারেননি তিনি। ফলে বল ভিতরের দিকে ছুড়ে বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়ে যান তিনি। আবার ভিতরে ঢুকে বল ধরেন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও জানিয়েছেন, সূর্যের ক্যাচ জিতিয়েছে তাঁদের। শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই ক্যাচ নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিতর্ক চলছে। ভারতের কেউ কিছু না বললেও বাংলাদেশ, পাকিস্তান-সহ কিছু দেশের জনগণের অভিযোগ, বাউন্ডারি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নইলে বলটি ছক্কা হত। এই একই কথা বলেছে অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্র। যে সাংবাদিক খবরটি লিখেছেন তাঁর মতে, চুরি করে জিতেছে ভারত।
সাংবাদিককে পাল্টা জবাব দিয়েছেন গাওস্কর। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদপত্রে ক্যাচটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রত্যেকটি রিপ্লে-তে বোঝা গিয়েছে সূর্য বৈধ ক্যাচ ধরেছে। বল ধরে ও বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। কিন্তু তার আগে বল ভিতরে ছুড়ে দেয়। তার পরে ভিতরে ঢুকে ক্যাচটি সম্পূর্ণ করে। এতে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই।”
এখানেই থামেননি গাওস্কর। তিনি আর বলেন, “যে সাংবাদিক খবরটি লিখেছেন তাঁর মনে হয়েছে ক্যাচটি বৈধ নয়। আমি ওঁকে বলব, সমাজমাধ্যমে এমন অনেক ভিডিয়ো রয়েছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার ১০টি চুরি দেখা যায়। তাই সূর্যের দিকে আঙুল তোলার আগে ওগুলো দেখুন। চোরের মায়ের বড় গলা।”
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ১৭ বছর পরে আবার কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। বিশ্বকাপ শেষে রোহিত ও বিরাট কোহলি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। বিশ্বকাপ জিতে দেশের ফেরার পরে মুম্বইয়ে হুডখোলা বাসে উল্লাস করেছেন ক্রিকেটারেরা। তাঁদের দেখতে ভিড় জমেছিল মেরিন ড্রাইভে। পরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে রোহিত, কোহলিদের।