আবার চোর সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ রাজ্যে। এ বার ঘটনাস্থল হাওড়ার বাঁকড়া। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষার পর জখম যুবককে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনাটি শুক্রবার রাতের। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ৯টা নাগাদ বাঁকড়ার জমাদার পাড়ার বাসিন্দা শেখ মসিদুল হাসান ওরফে মিন্টু মল্লিকবাঁধ এলাকায় বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। আচমকা তাঁর উপর একদল লোক চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মোবাইল চোর সন্দেহে মারধর করা হয় ৩০ বছরের ওই যুবককে। মসিদুল তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তিনি চোর নন। কারও মোবাইল চুরি করেননি। কিন্তু, তাঁর কোনও কথা কেউ কানে তোলেননি বলে অভিযোগ। কিল-চড়ের পাশাপাশি লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই যুবককে। আহত অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে চিনতে পেরে বাঁকড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে এই ঘটনা।
আহত যুবকের দাবি, তাঁকে চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মোবাইল চুরি করিনি বলা সত্ত্বেও আমায় প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে।’’ এই গণপিটুনির খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, মসিদুলের আচার-আচরণ ভাল। এলাকায় তিনি ‘ভাল ছেলে’ বলে পরিচিত। কখনও কোনও গন্ডগোলে জড়িয়েছেন বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ডোমজুড় থানার পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও লিখিত অভিযোগ পায়নি তারা। তবে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।