সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় কিছু দিন ধরেই আলাদা থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। রবিবার হঠাৎই স্বামীকে ফোন করে তাঁর বাপের বাড়িতে ডাকেন তাঁর স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ি পৌঁছতেই স্ত্রী এবং শ্যালক মিলে যুবককে ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, তাঁকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে ভর্তি করানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার তেঘরী এলাকার ঘটনায় মৃতের স্ত্রী-সহ শ্বশুরবাড়ি লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্য দিকে, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থানা এলাকার তেঘরীর বাসিন্দা মহম্মদ রেজার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সীমা খাতুনের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হত। বেশ কিছু দিন আলাদা আলাদা থাকতে শুরু করেন ওই দম্পতি। রবিবার আচমকাই বাপের বাড়ি থেকে রেজাকে ফোন করেন সীমা। তাঁকে দেখা করতে বলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি যেতেই তাঁকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের পরিবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে বিধ্বস্ত অবস্থায় ঘরে ফেরেন রেজা। জানান তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন স্ত্রী এবং শ্যালক। তাঁকে বিষও খাইয়েছেন। সব শুনে তড়িঘড়ি যুবককে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন। অবস্থা দেখে হাসপাতালে ভর্তিও করিয়ে নেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের আত্মীয়া রেহানা পারভিন বলেন, ‘‘শুধুমাত্র খুন করার জন্য পরিকল্পনা করে ওকে ফোন করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।’’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। এখনই এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’’