মহারাষ্ট্রে প্রচারে গিয়ে ফের জাতগণনা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বিরোধী দলের সদস্যেরা মানতে পারছেন না যে, গত ১০ বছর ধরে দেশ চালাচ্ছেন ‘অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত’ এক ব্যক্তি! তাই ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে এই ‘বিভাজনের রাজনীতি’ শুরু করেছে কংগ্রেস।
শনিবার মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ে একটি সমাবেশে মোদী বলেন, ‘‘দেশে গত ১০ বছর ধরে এক জন ওবিসি প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন যিনি সমাজের সব শ্রেণিকে উন্নীত করার লক্ষ্যে অটল। কংগ্রেস এই সত্যকে সহ্য করতে পারে না। তাই অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিগুলিকে ছোট ছোট বর্ণ-গোষ্ঠীতে ভাগ করে তাদের ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে।’’ মোদীর আরও দাবি, কংগ্রেসের এই নীতি ‘বিভাজনমূলক’, দেশকে ভাঙতেই বিরোধী দলের এই ‘চক্রান্ত’। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কংগ্রেস ও তাদের জোটসঙ্গীরা ‘পাকিস্তানের এজেন্ডা’য় সায় দিচ্ছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সুরে সুর মেলাচ্ছেন। তবে জনগণের আশীর্বাদ না মেলা পর্যন্ত তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।’’
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে আগামী ২০ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ভোটগণনা হবে ২৩ নভেম্বর। নির্বাচনের আগে সেখানে প্রচারে গিয়েছেন মোদী। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেখানে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার মোদী প্রথম বার মহারাষ্ট্রের ধুলেতে নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন। সেখানেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভাজনের অভিযোগ তোলেন তিনি। মোদীর অভিযোগ, নেহরুর সময় থেকেই কংগ্রেস সংরক্ষণের বিরোধিতা করে এসেছে। পারিবারিক সূত্রে এখনও সেই বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছেন রাহুল। মোদীর দাবি, “অতীতে ধর্মের নামে কংগ্রেস দেশভাগ করেছিল। এ বার জাতের নামে করতে চাইছে।’’
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই জাতগণনা প্রসঙ্গে সরব কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া মঞ্চ। বিজেপি ৪০০ আসন পেলে সংরক্ষণ উঠে যাবে বলে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেছিল কংগ্রেস। ভোটের ফলে দেখা যায়, ওই প্রচারে লাভ হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের। এ বার মহারাষ্ট্রে ভোটের আগে পাল্টা প্রচারে মোদী দাবি করলেন, বিজেপি নয়, বরং সংবিধানে থাকা সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার পক্ষে কংগ্রেসই। শুক্রবারের পর শনিবারও মোদী বলেন, ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়।’’ অনেকে মনে করছেন, যোগী আদিত্যনাথের ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’র রেশ টেনেই নয়া স্লোগান মোদীর।