নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেই আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি জানিয়েছিলেন যে বাংলায় বিনিয়োগ করতে তিনি ইচ্ছুক। আর সেই মতো এবার তাজপুরে বন্দরের এলাকা পরিদর্শন করে গেলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্তারা। পরিদর্শনকালে আদানি গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। জানা গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর আট কর্মকর্তা জেলা প্রশাসন ভূমি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে তাজপুর, চাঁদপুর, জলধা ও পুরুষোত্তমপুর এলাকায় পরিদর্শন করেন।
এর আগে গত ২ জিসেম্বর নবান্নে মমতার সঙ্গে দেখা করেন গৌতম আদানি। আগামী বছর এপ্রিলে বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনে উপস্থিত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন গৌতম আদানি। বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই শিল্পপতির বাংলায় বিনিয়োগের নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, মুম্বই সফরেরআগেই দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন মমতা। এরপরই মোদীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক শলতে পাকাতে গিয়েছিলেন মুম্বই। সেখান থেকে ফিরতে না ফিরতেই মমতার সাক্ষাত হয় গৌতম আদানির সঙ্গে। আর সেই সাক্ষাতের তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাংলায় বিনিয়োগের বিষয়ে নিজেদের তত্পরতা দেখাল আদানি গোষ্ঠী। বিরোধীরা বরাবরই রাজ্যকে শিল্পবন্ধ্যা বলে কটাক্ষ করেন। এক্ষেত্রে বাস্তবে আদানি শিল্পগোষ্ঠী যদি রাজ্যে বিনিয়োগ করে, তা রাজ্য সরকারের জন্য যে বড় সাফল্য হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মমতা নিজেও পুরভোটের প্রচারে বিনিয়োগ আনা এবং শিল্প গড়ে তোলার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, ‘রাজ্যে শিল্প করে দেখাব।’
এদিকে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য মোট ১৬ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ও দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ছয় হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। ৩৫০ মিটার প্রস্থ ও ১৬ মিটার নব্যতা থাকায় তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে কাজ করতে পারে। এই বন্দর তৈরি হওয়ার পর ১০ হাজারের বেশি মানুষদের কর্মসংস্থান হবে। গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে তাজপুরে সরাসরি বড় বড় জাহাজ ঢুকতে পারবে। তাই পরিবহণের জন্য রাজ্য সরকার নিকটতম জাতীয় সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করবে বলেও জানা গিয়েছে।