পরিস্থিতি এমন দিকে এগোচ্ছে যে আমরা অদৃষ্টপূর্ব ধ্বংসলীলার সম্মুখীন হতে চলেছি, হুঁশিয়ারি দিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেজ। ১৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার জলবায়ু বদলের ফলে বিশ্বজুড়ে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি। একাধিক সংস্থা একসঙ্গে তৈরি করেছে রিপোর্টটি।
ওয়ার্ল্ড মিটিয়োরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউএমও-র নেতৃত্বে তৈরি ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলবায়ু বদলের কথা চিন্তা করলে একেবারেই ভুল দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব। লাগাম টানা সম্ভব হয়নি গ্রিন হাউজ গ্যাসের ঘনত্বেও। কোভিড লকডাউনের সময় নিঃসরণ কমলেও, ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ বেড়েছে ১.২ শতাংশ।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, কঠোর ভাবে লাগাম না টানতে পারলে এই শতাব্দীর শেষে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে বিশ্বের গড় উষ্ণতা। ২০৫০ সালে ১৬০ কোটি মানুষকে বছরে অন্তত তিন মাস ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমে বসবাস করতে হবে। পাশাপাশি, এ হেন তাপমাত্রায় বদলে যেতে পারে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুও। ফলে দেখা দিতে পারে এমন সব প্রাকৃতিক বিপর্যয়, যা কেউ কোনও দিন চোখে দেখেননি। এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিয়ো বার্তায় গুতেরেজ বলেন, “ইউরোপের তাপপ্রবাহ বা পাকিস্তানের বন্যা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলি ক্রমেই অতিপ্রাকৃত রূপ নিচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অভিঘাতে সৃষ্ট হওয়া ধ্বংসলীলা এমন হতে চলেছে যা কেউ আগে দেখেননি।”