আইপিএলে অনেক দিন পর এ বছর চেনা ফর্মে সুনীল নারাইন। ব্যাট এবং বল হাতে প্রতিপক্ষ দলগুলিকে কোণঠাসা করে দিচ্ছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অলরাউন্ডার। রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধেও ৩৯ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ফর্মে থাকা নারাইনকে রুখতে কি কোনও পরিকল্পনা করেননি লোকেশ রাহুলেরা? লখনউয়ের জোরে বোলার নবীন উল হক বলেছেন, নারাইনের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও পরিকল্পনাই কাজে আসেনি।
পরিকল্পনা করেও নারাইনকে আটকাতে না পারার কথা রবিবার ম্যাচের পর স্বীকার করে নিয়েছেন লখনউয়ের আফগান জোরে বোলার নবীন। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের ২২ গজে প্রতিপক্ষের সব বোলারের বিরুদ্ধেই আগ্রাসী ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেটার। নবীন বলেছেন, ‘‘নারাইনকে আটকাতে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা ছিল। ঘন ঘন বাউন্সার এবং ইয়র্কার দিয়ে সমস্যায় ফেলতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু নারাইনের ক্ষেত্রে কিছুই কাজে আসেনি। মেনে নিতে অসুবিধা নেই, দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। সত্যি বলতে, প্রায় প্রতিটি বল ব্যাটের মাঝখান দিয়ে মেরেছে। মরসুমের প্রথম থেকে যে ভাবে খেলছে, আমাদের বিরুদ্ধেও ঠিক সে ভাবে খেলেছে।’’
কেকেআরের জয়ের জন্য নারাইনকে মূল কৃতিত্ব দেওয়া নবীন মেনে নিয়েছেন লখনউয়ের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথাও। রাহুলের দলের জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘লখনউয়ে আমরা এত ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে কোনও ম্যাচ খেলিনি। ব্যাট করার জন্য এটাই ছিল সেরা পিচ। রান তাড়া করার সময় যা করা উচিত ছিল, আমরা সেগুলো করতে পারিনি। এই পিচটা অনেকট চেন্নাইয়ের মতো ছিল। ওখানে আমরা বড় রান তাড়া করে সাফল্য পেয়েছিলাম। বলছি না এই ধরনের পিচ খারাপ। তবে বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘রান তাড়া করার সময় চাপ থাকেই। লক্ষ্য বড় হোক বা ছোট। প্রত্যেকটা দলের খারাপ দিন আসে। আমাদের এই ম্যাচ নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। সামনের দিকে তাকাতে হবে।’’
রবিবারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর করে ৬ উইকেটে ২৩৫। জবাবে লখনউয়ের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৩৯ রানে। ৯৮ রানে ম্যাচ জিতে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে কলকাতা।