হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল। গোটাটাই ছিল সাজানো। তাৎপর্যপূর্ণভাবে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তৈরি প্যানেল এনিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে। কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও তেলেঙ্গানা হাইকোর্টকেও নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আদালত সূত্রে খবর, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তদের নিশানা করে তাদের মৃত্য়ু নিশ্চিত করার জন্যই সেদিন নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল। এদিকে শিরপুরকার কমিশন এই ঘটনায় জড়িত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে।
কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করার চেষ্টা করছিল এবং তারপর গুলি চালানো হয় বলে যেটা বলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। ১০জন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনারও সুপারিশ করা হয়েছে।
২০১৯ সাল। ২৬ বছর বয়সী তরুণী পশুচিকিৎসক, দিশা হায়দরাবাদে তাঁর ক্লিনিক শেষ করে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ করে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর স্থানীয় হাইওয়ের ধারে একটি আন্ডারপাসে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। এদিকে ২০১৯ সালে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজন পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায় বলে দাবি করা হয়। সেই চার অভিযুক্তের নাম মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চেন্নাকেশাভালু। এরপর সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের একটি কমিশন তৈরি করে এই এনকাউন্টারের ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রিপোর্টই সামনে এল এবার।