ঘাত-প্রতিঘাত লেগেই রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনে। তবে এত কিছু সয়েও এখনই রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ভাবছেন না এই জুটি। বরং সঠিক সময়ের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। ফের সুযোগ পেলে রাজনীতির ময়দানে কোমর বেঁধে নামবেন বলেই এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানালেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনীতিতে পুনরায় ফেরা নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে সচেতন মানুষ হিসেবে আমি বলতে পারি, এখনও রাজনীতিতে আমার ভূমিকা শেষ হয়নি। এমনকী, আমার স্বল্প ভূমিকা তৃণমূলেও ছিল। বিজেপি ও তৃণমূল – এই দুই দলে থাকাকালীনই মানুষের ভালবাসা পেয়েছি আমি। তবে যাঁকে দেখে রাজনীতিতে আসতে চেয়েছিলাম, সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে যখন দেখি যে, তিনি বর্তমানে রাজনীতি ধরনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পেরে, সেখান থেকে অনেকটা সরিয়ে নিয়েছেন, তখন মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা সাময়িকভাবে ধাক্কা লেগেছিল ঠিকই কিন্তু তা বলে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেব না। কারণ, কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। সঠিক সময়ের অপেক্ষায় রয়েছি। মানুষ চাইলে, আবার রাজনীতিতে ফিরব। কারণ, রাজনীতিকে এখনও অনেক কিছুই দেওয়ার রয়েছে শোভনের।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তবে এদিন এই দুই দলে সম্পর্কে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বৈশাখী জানিয়েছেন যে, রাজনৈতিকভাবে বিজেপিতে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। কারণ, বিজেপিতে তিনি যে স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলেন, তাতে বড়সড় ধাক্কা খেয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি মনে করেন সেই ধাক্কা তাঁকে রাজনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। আবার তৃণমূলের ফেরা নিয়ে বৈশাখী জানিয়েছেন, ‘তৃণমূলে যদি আগের মতো সুন্দর পরিবেশ থাকত তাহলে, যে দলে শোভনের রক্ত জল মিশে রয়েছে, সেখান থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতেন না। এমনকী, আমায় শিক্ষক সংগঠন থেকে সরতে হত না। সে ক্ষেত্রে এই দুই দলের তরফ থেকে পাওয়া আঘাত কারও থেকে কিছু কম নয়।’
অন্যদিকে, নারদ মামলা নিয়ে পুনরায় নড়েচড়ে বসেছে ইডি। ইতিমধ্যেই নারদ মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চার্জশিটে নাম রয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিধায়ক মদন মিত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়দের। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শোভনকে যেভাবে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই, তাতে আমি মর্মাহত হয়েছিলাম। কারণ, এজেন্সিগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করলে, গণতন্ত্রে এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তবে ভারতের সংবিধান অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সাময়িকভাবে হয়ত কাউকে হেনস্থা করা যেতে পারে, কিন্তু জয় সত্যেরই হবে।’