আরও অনেক পথ যেতে হবে, বলছেন অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা বিশ্বকাপ জিতে আসা হাওড়ার ঋষিতা

আরও অনেকটা পথ যেতে হবে। জানিয়ে দিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা বিশ্বকাপ জিতে আসা হাওড়ার ঋষিতা বসু। বিশ্বকাপ জিতলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর পরবর্তী লক্ষ্যও। ঋষিতার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঋষিতার বাড়ি হাওড়ার বালিটিকুরি এলাকার বিবেকানন্দপল্লিতে। পাড়ার ছোট্ট মেয়েটার এই বড় সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারাও।

মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যে ফিরেছেন ঋষিতা। তাঁর সঙ্গে ফিরেছেন আর এক বাঙালি বিশ্বজয়ী চুঁচুড়ার তিতাস সাধু। তাঁদের স্বাগত জানাতে কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি)-এর সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। এর পর সেখান থেকে নিজের বাড়ি বিবেকানন্দপল্লিতে ফেরেন ঋষিতা। পাড়ার মেয়ের ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে চড়ে বালিটিকুরি মোড়ে পৌঁছন ঋষিতা। সেখান থেকে হেঁটে মা মালবিকা বসুর সঙ্গে বাড়িতে ফেরেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বহু মানুষ। বাড়ির চৌকাঠে নারকেল ফাটিয়ে ঘরে ঢোকেন ঋষিতা। কেক কেটে খাইয়ে দেন পরিবারের সদস্যদের। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নটা সত্যি করে ফেললেও এখানে থামতে চান না তিনি। এগোতে চান আরও অনেক পথ। ঋষিতা বলেন, ‘‘আমার এই সাফল্যের মূলে রয়েছে বাবা-মায়ের প্রচেষ্টা এবং তাঁদের অনুপ্রেরণা।’’ বাড়িতে ফিরে পরবর্তী লক্ষ্যও স্থির করে ফেলেছেন তিনি। বলে দিলেন, ‘‘এখন লক্ষ্য হল মহিলা আইপিএল।’’ এর পর ক্রিকেট নিয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নও দেখেন ঋষিতা।

Hrishita Basu, member of Indian U19 team returns to her home

ঋষিতার মা মালবিকার কথায়, ‘‘আমার বহু দিনের স্বপ্ন ছিল ওরা বিশ্বকাপ জিতবে। সেই স্বপ্ন সত্যি হল আজ। ময়দানের বাইরেও ঋষিতা অনেক লড়াই করেছে। ভবিষ্যতে ও আরও বড় ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে এটা নিশ্চিত।’’ ঋষিতার বাবা নীলাদ্রি বসু বলেন, ‘‘আজ এত আনন্দের দিন যে ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে ও দেশের নাম উজ্জ্বল করুক। সেটাই চাই।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.