ব্যাটে রান নেই, সমালোচিত শেফালি ভার্মার ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ঝুলন গোস্বামী

আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২২-এ খারাপ ফর্মের মধ্যে রয়েছেন শেফালি ভার্মা। এবার তারই পাশে দাঁড়ালেন ভারতের মহিলা দলের অভিজ্ঞ পেসার ঝুলন গোস্বামী। তার মতে শীঘ্রই ফর্মে ফিরে আসবেন শেফালি। কারণ হিসাবে ঝুলন বলেছেন, নেটে ভালো ব্যাটিং করছেন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খাতাও খুলতে পারেননি ভার্মা। তিনি গত কয়েক ম্যাচ ধরে খারাপ ফর্মে রয়েছেন এবং ভারত যদি বিশ্বকাপ জিততে চায় তবে তার ব্যাট থেকে রান পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভার্চুয়াল সংবাদিক সম্মেলনে ঝুলন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত সে নেটে খুব পরিশ্রম করছে এবং ভালো ব্যাটিংও করছে। তার শুধু একটা বড় ইনিংস দরকার এবং সেটা হলে সে ভালো করবে।’ 

শেফালি ভার্মা শেষ চার ম্যাচের তিনটিতে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ২২ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচে তিনি খাতা খোলেননি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও শূন্য রানে আউট হয়েছেন। আসন্ন ম্যাচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সঠিক জায়গায় বল করতে হবে। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডকে সঠিক জায়গায় বল করতে হবে। মাঠগুলো বেশ খোলামেলা এবং বাতাস বইছে যার সদ্ব্যবহার করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে অনেক কথা বলেছি।’ ঝুলন বলেন, ‘পূজা বস্ত্রকার, মেঘনা সিং, রেণুকা সিং ঠাকুর এবং সিমরান দিল বাহাদুর ভালো বোলিং করেছে এবং সুযোগ পেলে তারা ধারা বজায় রাখতে চাইবে।’ তিনি বলেন যে বোলাররা ভালো করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভালো করেছেন। সেই ম্যাচে ভারত ১০৭ রানে জিতেছিল। ঝুলন বলেন, ‘নতুন বলে বোলাররা প্রথম দশ ওভার দুর্দান্ত বোলিং করেছে। এরপর স্পিনাররা তাদের কাজটা ভালোই করেছে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

ঝুলন গোস্বামী আরও বলেছেন যে ভারত প্রথম দিকে নিউজিল্যান্ডে আসার এবং স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে কিছু ম্যাচ খেলার সুবিধা পেয়েছিল। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে এখানে আসা এবং খেলার মাধ্যমে এখানকার পরিস্থিতি এবং উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।’ তিনি বলেছিলেন। যদিও আগামিকালের ম্যাচটি হবে ভিন্ন এবং এটি একটি বিশ্বকাপের ম্যাচ। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করব এবং ভালো পারফর্ম করব।

ঝুলনের বর্তমানে বিশ্বকাপে ৩৮ উইকেট রয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ার লিন ফুলস্টোনের ৩৯ উইকেটের চেয়ে এক উইকেট পিছিয়ে রয়েছেন ঝুলন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমিও জানতাম না। দলের একজন সিনিয়র সদস্য হিসেবে আমার কাজ হল প্রাথমিক সাফল্য প্রদান করা। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন খেলে রেকর্ড তৈরি হয়, যা আনন্দ দেয়, তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দ আসে দলের জয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.