‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’, তাই হাসিনাকে থাকতে হচ্ছে ভারতে! তবে মুজিব-কন্যাকে ‘আশ্রয়’ দিচ্ছেন না মোদী

শেখ হাসিনাকে তাঁর নিরাপদ আশ্রয় নির্ধারণ করার জন্য কিছু সময় দিয়েছিল ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে সম্ভবত তার পরেও ভারতেই থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনও দেশ থেকেই এখনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া না মেলায় তিনি ভারতেই আপাতত থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ভারতে তাঁকে কোনও রকম রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছে না। ভারতে হাসিনা থাকবেন ভিসার অনুমোদন প্রক্রিয়া মেনে।

সংবাদ মাধ্যম নিউজ় এইট্টিন-এর একটি প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রের কথা জানিয়ে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সূত্রের বক্তব্যও উল্লেখ করেছে। ওই সূত্র বলেছে, ‘‘এই মুহূর্তে অন্য কোনও দেশে হাসিনার পক্ষে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ভারতে তিনি আশ্রিত বা শরণার্থী হিসাবেও থাকতে পারবেন না। কারণ ভারতের ওই সংক্রান্ত কোনও আইন নেই। আমরা জেনেবুঝেই ওই ধরনের কোনও আইন আনিনি। তাই আইনত আমরা কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারি না। শরণার্থী হিসাবেও রাখতে পারি না।’’ তাঁকে ভারতে আশ্রিত তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ওই সূত্র বলেন, ‘‘দলাই লামা এখানে রয়েছেন ভারত সরকারের নীতি সংক্রান্ত কারণে।’’

ছাত্র আন্দোলনের ধাক্কায় দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আসার পরে হাসিনা ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। যদিও সেই আবেদন ব্রিটেন গ্রহণ করেনি। আমেরিকাও হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, হাসিনা এখন আরব আমিরশাহি অথবা ইউরোপের অন্যান্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। কিন্ত যত দিন না সেই সন্ধান সফল হচ্ছে তত দিন ভারতেই থাকতে চলেছেন হাসিনা। ইতিমধ্যেই যদিও হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরলেই তাঁর মা দেশে ফিরবেন। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত ভারত থেকেই বাংলাদেশে ফিরবেন কি না সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.