কলকাতার রাস্তায় বিশাল যানজট, রুট বদল করেছে পুলিশ, ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা

 সোমবার দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। গতকাল, অর্থাত্‍ সোমবার রাজ্যের তরফে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। প্রথমে বেলুড় মঠ ভ্রমণের পর আজ মঙ্গলবার তাঁর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীতে যাওয়ার কথা। রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষ্যে এই দু’দিন কলকাতা এবং অন্যান্য জেলাগুলির একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে (traffic)।

আর তার জেরেই সপ্তাহের শুরুতেই বেজায় বিপাকে নিত্যযাত্রীরা।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সাঁতরাগাছি ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল কলকাতামুখী সমস্ত গাড়ি। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর বিকল্প হিসাবে স্ট্র্যান্ড রোড-হাওড়া ব্রিজ দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল গাড়ি। যদিও ৯.১০ পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতু বন্ধ থাকার কথা থাকলেও ৯টার আগেই ফের দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়।

এছাড়া এদিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিট থেকে সকাল ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মা উড়ালপুল, এজেসি বোস রোড এবং এজেসি বোস উড়ালপুলে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মা উড়ালপুলের বদলে এদিন পার্ক সার্কাস কানেক্টর ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের। এই কারণে পার্ক সার্কাস এবং বাইপাসের রাস্তায় সকাল থেকে বিপুল যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত উত্তর এবং দক্ষিণমুখী খিদিরপুর রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। খিদিরপুর রোড ধরে যাওয়া গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেন্ট জর্জেস গেট রোড-স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে। যান চলাচল বন্ধ ছিল উত্তর এবং দক্ষিণমুখী রেড রোডেও। দক্ষিণমুখী রেড রোডের বিকল্প হিসেবে মেয়ো রোড-ডাফরিন রোড-আউট্রাম রোড অথবা স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল গাড়ি। জওহরলাল নেহরু রোড দিয়ে পাঠানো হয়েছে উত্তরমুখী রেড রোড দিয়ে যাওয়া যানবাহন।

এছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের সমস্ত রাস্তায় পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখার নিদেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে, রুট বদলের কারণে কলকতার প্রায় সমস্ত রাস্তাতেই প্রবল যানজটের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।

নবান্ন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে বেলুড় মঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে ইউকো ব্যাঙ্কের ৮০ তম বর্ষে পদার্পণের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর যাবেন শান্তিনিকেতন। সেখানে তিনি অংশ নেবেন বিশ্বভারতীয় বাত্‍সরিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.