পুরো নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়ি ও পার্টি অফিসে ইডি হানার ঘটনায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।তাঁর প্রশ্ন, যিনি একসময় ঠেলায় এগরোলো বিক্রি করতেন তিনি কোটি টাকার মালিক হলেন কোন মন্ত্রে? সুজিত বসুর বিরুদ্ধে তার শ্বশুরবাড়ির পরিবারকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্তবাবু বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে লোকটা আগে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঠেলা লাগিয়ে এগরোল বিক্রি করতেন, সেই সুজিত বসু রাতারাতি কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন? সেটা তো মানুষের জানা দরকার। পাশাপাশি তাঁর দাবি, “আমার কাছে খবর আছে, পুর দুর্নীতি করে সুজিত বসু তার দুই শ্যালিকার চাকরি করে দিয়েছেন ও ওই দুই পরিবারকে একাধিক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। আজ নির্দিষ্ট তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতেই নিশ্চই তদন্ত করেছে ইডি। ” তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন তদন্তটা চলছে আদালতের নির্দেশেই।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমির বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। বাড়িতে ঢুকতে প্রাথমিকভাবে সুজিত বাবুর বাড়ির কেয়ারটেকার তাদের বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু নথি দেখানোর পর তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়। তারপর থেকে লাগাতার তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা। সুজিত বসুর বাড়ি ও তার লাগোয়া পার্টি অফিসে তল্লাশি চলে। এই তল্লাশি অভিযান ঘিরে নজীর বিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বেলা বাড়তেই সুজিত বসুর লেকটাউনের বাড়ির সামনেও বাড়তে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সংখ্যা। বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়েছিলেন জাওয়ানরা। তাদের মাথায় ছিল হেলমেট। হাতে ছিল লাঠি। তাদের অনেকের হাতে আগ্নায়স্ত্র ছিল। টিয়ার গ্যাসের সেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছিল বাহিনীর জওয়ানদের কাছে।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাহিনীর সংখ্যা বেড়েছে। দশটার পর সিআরপিএফের ডেপুটি কমান্ডেন্টের নেতৃত্বে রুট মার্চ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আশপাশে কোনো লোক জড়ো হতে দেননি তারা। এমনকি রাস্তার ধারে গাড়িও দাঁড়াতে দেননি। সুজিত বসুর পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।