পরিত্যক্ত একটি বাড়ি। অনেকটা জায়গা। ভিতরে গাছপালায় ভর্তি। তার মাঝেই পড়ে ছিল কালো প্লাস্টিকে মোড়ানো কয়েকটি ব্যাগ। কটূ গন্ধও বেরোচ্ছিল। স্থানীয়দের কয়েক জনের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে সেই প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি পরীক্ষা করতেই তার ভিতর থেকে মহিলার টুকরো টুকরো দেহ বেরিয়ে আসে। তিনটি প্লাস্টিকে মোড়ানো ছিল ওই দেহাংশগুলি। শহরের বুকে একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে এক মহিলার টুকরো করা দেহ উদ্ধার হওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে কলকাতার ওয়াটগঞ্জ এলাকার সত্য ডক্টর লেনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে দেহাংশগুলি উদ্ধার হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে তা দেখে মনে হচ্ছে, মহিলার বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে দেহ কাটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যুর পর দেহটি টুকরো করা হয়েছে বলেও প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে ময়নাতদন্তের পর পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার হরিকৃষ্ণ পাই। হোমিসাই শাখা এবং ডগ স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েছে কি না, সেই তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহিলার কাটা মাথা, বুক এবং পা পাওয়া গিয়েছে। পেটের কাছে অংশ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও হাতেরও কোনও হদিস মেলেনি। তা হলে দেহের বাকি অংশ কোথায়? এখনই এটাই প্রশ্ন পুলিশের কাছে।
কোথা থেকে এই কাটা মাথা এল, স্থানীয়রা কেউ সন্দেহজনক কিছু দেখেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, এটাও দেখা হচ্ছে যে, মহিলাকে ওই পরিত্যক্ত জায়গায় খুন করা হয়েছে, না কি অন্যত্র খুন করে ওয়াটগঞ্জের এই পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে? আশপাশের বাড়ির কোনও সিসিটিভি ফুটেজ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যেখান থেকে ওই দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। স্থানীয়দের কয়েক জন প্রথমে কালো প্লাস্টিকগুলি পড়ে থাকতে দেখেন। কটু গন্ধ বেরোনোয় তাঁদের সন্দেহ হয়। তখন তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই প্লাস্টিকগুলি উদ্ধার করেছে। প্যাকেটগুলির মধ্যে মহিলার টুকরো করা দেহাংশ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনাস্থলে এসেছে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার হরিকৃষ্ণ পাই এবং হোমিসাইড শাখা।