স্ত্রীর মুন্ডু কেটে বেঞ্চে রেখে ‘বিশ্রাম’ যুবকের! প্রেম দিবসে চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে

পারিবারিক অশান্তির জেরে কাটারি দিয়ে স্ত্রীর ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দিলেন স্বামী! তার পর সেই মুন্ডু হাতে নিয়ে চিৎকার করলেন। মুন্ডু বেঞ্চে রেখে পাশে বসলেনও। বুধবার এমন দৃশ্যে শিহরিত পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। গোটা রাজ্যও।

পুলিশ সূত্রে খবর, পটাশপুর থানার চিস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌতম গুছাইত বুধবার স্ত্রী ফুলরানি গুছাইতকে খুন করেন কাটারি দিয়ে। তার পর সেই কাটা মুন্ডু রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। বেশ কিছু ক্ষণ মুন্ডু হাতে নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করার পর একটি বেঞ্চে গিয়ে বসেন তিনি। পাশে রেখে দেন স্ত্রীর কাটা মুন্ডু। সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি এবং বারমুডা পরিহিত মারমুখী গৌতমকে দেখে শোরগোল শুরু হয়ে যায় ওই এলাকায়। পেশায় হকার গৌতম। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল গৌতমের পরিবারে। তার জেরেই বুধবার স্ত্রীকে তিনি খুন করেছেন বলেই মনে করছেন তাঁরা। গ্রামের কয়েক জন জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুন করার পর তাঁর কাটা মাথা হাতে নিয়ে এগরা-বাজকুলের রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন গৌতম। বেশ কিছু ক্ষণ এদিক ওদিক কাটা মুন্ডু হাতে হাঁটার পর নিজেই দড়ি দিয়ে একটি জায়গা ঘিরে নিয়ে সেখানে একটি বেঞ্চ পেতে বসে পড়েন। পাশে রাখেন ওই কাটা মুন্ডু। হাতে রাখা ছিল কাটারি। স্থানীয় কয়েক জন চেষ্টা করেও ওই যুবকের কাছে ঘেঁষতে পারেননি ভয়ে। ওই ভাবে হাতে রক্তমাখা অস্ত্র হাতে নিয়ে ঠায় বসে থাকেন গৌতম। কিছু ক্ষণের মধ্যেই খবর যায় পটাশপুর থানায়। এর পর পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

পাশাপাশি কাটা মুন্ডু উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। যে ঘরে গৌতম তাঁর স্ত্রীকে খুন করেন, সেখান থেকে উদ্ধার হয় মাথাবিহীন রক্তাক্ত দেহটি। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ হাসপাতালে পাঠানো হয় দুপুরেই। অন্য দিকে, অভিযুক্তের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাবা-মাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পটাশপুর থানার পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছিল, কী ভাবে এবং কখন ওই খুন হয়, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, গৌতমের মানসিক সমস্যা রয়েছে। এর আগে এক বার তিনি আলিপুর চিড়িয়াখানায় সিংহের খাঁচায় ঢুকে পড়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.