গোটা গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদটাই নাকি বনভূমি! সুপ্রিম কোর্টকে জানাল হরিয়ানা সরকার

রাজ্যের বনভূমি থেকে পরিকাঠামো পরিষ্কার করে সেখানে জঙ্গল ফেরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হরিয়ানা সরকারকে। সেই প্রেক্ষিতেই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে হরিয়ানা সরকার জানিয়েছে যে এই কাজটি তাদের ক্ষমতার বাইরে। কারণ রাজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ জমি বনের অধীনে আসে। নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হলে ১১টি জেলায় বহু বিল্ডিং, স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস এবং আবাসিক ভবন ধ্বংস করতে হবে। এর মধ্যে গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদের পুরো এলাকা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দায়ের করা একটি নতুন হলফনামায়, রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয় যে পিএলপিএ-র অধীনে জমি বন হিসাবে গণ্য করা যাবে না। এটি ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে নেওয়া অবস্থানের পরিপন্থী হবে। এর আগে আদালত চলতি বছরের ২৩ জুলাই রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল যে আরাবলি বনভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা সমস্ত অননুমোদিত কাঠামোগুলিকে সাফ করতে হবে। আদালত বলেছিল, ‘বনভূমি থেকে সমস্ত কাঠামো সরানোর নির্দেশিকা কোনও ব্যতিক্রম ছাড়া সমস্ত পরিকাঠামোর জন্য প্রযোজ্য।’

নয়া হলফনামায় হরিয়ানা সরকার জানিয়েছে, রাজ্যের মোট ১৭,৩৯,৯০৭ হেক্টর জমি পিএলপিএ-এর অধীনে নোটিফাই করা হয়েছে। এতে সমগ্র রাজ্যের ৩৯.৩৫ শতাংশ ভৌগোলিক এলাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি জেলা রয়েছে – গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, পালওয়াল, পঞ্চকুলা, আম্বালা, যমুনানগর, রেওয়ারি, ভিওয়ানি, চরকি দাদরি, মহেন্দরগড় এবং মেওয়াত।

রাজ্যের তরফে আরও বলা হয়, ‘ব্যাপক আকারে পরিকাঠামো ধ্বংসের প্রয়োজন এবং তা রাজ্য সরকারের ক্ষমতার বাইরে। এটি গুরুতর এবং অতুলনীয় আইন-শৃঙ্খলা সমস্যা তৈরি করতে বাধ্য। এছাড়া, এটি এই ধরনের জমিগুলির উপর জনগণের সাংবিধানিক অধিকার সংক্রান্ত একটি খুব প্রাসঙ্গিক সমস্যা উত্থাপন করে। বিশেষ করে যেখানে নির্মাণ আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেওয়ার পরে করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.