পঞ্চায়েতর মনোনয়নের প্রথম থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। দফায় দফায় অশান্তি, বোমা-গুলিতে ত্রস্ত্র মানুষ। দুস্কৃতীদের হামলার মুখে কার্যত পালিয়ে বেঁচেছে পুলিস। মনোনয়ন জমার শেষ দিনেও প্রাণ গিয়েছে সেখানে। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। তারপরই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস।রাজ্যপালের সফরে বোমা উদ্ধার হয়। এদিন এ বিষয়ে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা যেমন আম কুড়াতাম, তেমন রাজ্যপালের দেহরক্ষী ভাঙড়ে বোমা কুড়াচ্ছেন। তারপরেও পুলিস বলছে খুন হয়নি। সব শান্ত। কমিশন সেটা মেনেও নিচ্ছে! ভগবান ভরসা। এই নির্বাচন কমিশনকে কে ভরসা করবে?’
এমনকী অভিষেকের ট্যুইট প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার বক্তব্য, বিজেপি চাপ দেবেই। সাধারণ মানুষ ভোটে অংশ নিতে পারছে না। আমাদের দায়িত্ব যথাসম্ভব চাপ দিয়ে মানুষকে ভোটে অংশ নেওয়ানো। এমন লোককে কমিশনার করেছেন, তাকে চাপ দিয়েও কাজ হয় না। চোখের সামনে খুন হয়ে গেছে। উনি পুলিসের রিপোর্ট দেখে বলে দিচ্ছেন কিছু হয়নি। এরকম ধৃতরাষ্ট্র হয়ে বসে থাকলে, কমিশনে কে ভরসা রাখবে?
কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরোধিতাযে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে কমিশন ও রাজ্য। সে প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, যদি সত্যিই যান, তাহলে প্রমাণ হবে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য আলাদা কিছু না। পার্টি যা চাইছে, মুখ্যমন্ত্রী সেটা বলে দিচ্ছেন। রাজীব সিনহা সেটাই করছেন। তাহলে আমরা ধরে নেব পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভোট তিনি চাইছেন না। ওনার মেরুদণ্ড নেই। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তার সরকার এবং পার্টির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। মনোনয়নে ৫ থেকে ৭ জন খুন। তারপরও যদি সেন্ট্রাল ফোর্স না আসে, তাহলে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে বেরোবে না। আরও খুন হবে। ফোর্স না এলে ভাঙড়, বেলদা, নওদার মতো জায়গা ঠান্ডা হবে না।
কিন্তু ২০১৩ সালে বাহিনী এনেই ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষের সাফ কথা, ওনার পুলিস সেবার সেন্ট্রাল ফোর্সকে কাজ করতে দেয়নি। কোর্টের তরফে সেন্ট্রাল ফোর্সকে কাজ করাতে হবে। মণিপুরে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। ওখানে ভোট হয়নি। এখানে ভোটের সময় যদি এতো খুন হয়, আদিবাসীরা বিক্ষোভ দেখায়, সেটা যদি হিংসাত্মক হয়ে যায়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের বেলায় অন্ধকার দেখবেন।