‘বিশেষ’ তকমা ঝেড়ে ফেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে চলেছে ভারতীয় রেল। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রাক-করোনাভাইরাস সময়ের ধাঁচেই চলবে ট্রেন। ফলে স্পেশাল ট্রেনে যে ৩০ শতাংশের মতো বাড়তি ভাড়া পড়ত, তাও নেওয়া হবে না। পুরনো ভাড়াই কার্যকর হবে।
কিন্তু যাঁরা ইতিমধ্যে টিকিট ফেলেছেন, ট্রেনের ‘স্পেশাল’ তকমা উঠে গেলে কি তাঁরা অতিরিক্ত টাকা ফেরত পাবেন? আপাতত সেই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও রেলের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, একবার টিকিট কাটা হয়ে গেলে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। রেল বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, যে যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট কেটে ফেলেছেন, তাঁদের থেকে বাড়তি কোনও টাকা নেওয়া হবে না বা তাঁদের বাড়তি টাকা ফেরতও দেওয়া হবে না।
অর্থাৎ কেউ যদি আগামী ১ ডিসেম্বর যাত্রা করবেন বলে গত ১ নভেম্বর হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট কাটেন, তাহলে তাঁকে ‘স্পেশাল’ ট্রেনের ভাড়াই গুনতে হবে। যা আগের থেকে ৩০ শতাংশের মতো বেশি। এবার রেলের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বরের (উদাহরণস্বরূপ তারিখ ব্যবহার করা হয়েছে) আগে হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস ‘স্পেশাল’ তকমা ঝেড়ে ফেললেও ওই যাত্রীকে কোনও টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
তবে কবে থেকে পুরনো ফর্মে ফিরবে ট্রেনগুলি, তা নির্দিষ্টভাবে এখনও জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘আঞ্চলিক রেলওয়েগুলিকে (জোনাল রেলওয়ে) জানিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকেই সেই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হলেও সেই প্রক্রিয়া চালু হতে এক থেকে দু’দিন লাগবে।’