রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োগের ঘোষণা করল তালিবান। তালিবানের মুখপাত্র তথা কাতারে শান্তি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা সুহেল শাহিনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলতি সাধারণ সভায় সুহেলকে বক্তব্য পেশ করতে দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে তালিবানের তরফে। এই আবহে কূটনৈতিক লড়াই শুরু হতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত আফগানিস্তানের পূর্বতন দূত এবং তালিবান নিযুক্ত প্রতিনিধির মধ্যে। পাশাপাশি এই পদক্ষেপ তালিবানের স্বকৃতি লাভের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে তালিবানের প্রতিটি পদেপের উপর কড়া নজর বজায় রেখেছে আন্তর্জাতিক মহল। নয়া শাসকদের স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে ধীরে চলার নীতি অবলম্বন করেছে অধিকাংশ দেশ। এই আবহে রাষ্ট্রসংঘের মতো মঞ্চে এখনই তালিবানকে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া নিয়ে রয়েছে সংশয়। রাষ্ট্রসংঘে তালিবানকে বক্তব্য পেশ করতে দেওয়ার অর্থ, বকলমে তালিবানি শাসকে স্বীকৃতি দেওয়া।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিচ জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর মহাসচিত অ্যান্টোনিও গুতেরেস স্বীকৃত আফগান দূত গুলাম ইসাকজাইয়ের থেকে একটি চিঠি পান। সেই চিঠিতে সাধারণ সভায় আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা ব্যক্তিদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। এর পাঁচদিন পর ‘ইসলামি এমিরেট অফ আগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকে’র লেটারহেডে আরও একটি চিঠি এসে পৌঁছায় রাষ্ট্রসংঘের প্রধানের কাছে। সেই চিঠি তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সই করা ছিল। তাতে দাবি করা হয়, গুলাম ইসাকজাই আর রাষ্ট্রসংঘে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাঁর মদে সুহেল শাহিনকে নিয়োগের কথা জানানো হয়। তবে তালিবানের এই নিয়োগকে রাষ্ট্রসংঘ এখনই স্বীকৃতি দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাষ্ট্রসংঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটি।