স্থগিতাদেশ তুলে অভিযোগের শুনানি অর্থহীন, দাবি SSC-র বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় খুশি নন বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের অভিযোগের সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য আদালত যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তার মধ্যে সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে ফেললে অভিযোগের আর কোনও মানেই থাকে না।

শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কলকাতা হাইকোর্ট জানায় প্রকাশিত তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানাতে হবে SSC-র কাছে। অভিযোগের শুনানি করে ১২ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে SSC-কে।

বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁদের যে সব নথি আপলোড করা হয়নি তা পেশ করলে অনেকেই মেধা তালিকায় স্থান পাবেন। কিন্তু নিয়োগপ্রক্রিয়া চলতে থাকলে ৩ মাস পর তাঁরা যোগ্য প্রমাণিত হলে সরকারের নিয়োগ করার মতো শূন্যপদ না-ও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে একজন যোগ্য প্রার্থীর বদলে একজন অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ পাবেন। তখন কী করবে আদালত? বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল রাখা উচিত ছিল।

আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার নম্বর-সহ উচ্চ প্রাথমিকে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে শুক্রবার সকাল থেকে বিধাননগরের SSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েক শ’ চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, যোগ্যতা থাকলেও তালিকায় নাম নেই তাঁদের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.