হঠাৎই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রাজভবন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিবকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে টানাপড়েনের আবহে মুখ্যসচিবকে রাজ্যপাল কেন তলব করলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। শনিবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে রাজভবনে ঢোকেন মুখ্যসচিব।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত সম্প্রতি তীব্র হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একের পর এক অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল বোস। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসানো হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে উপাচার্য করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজভবনের তরফে হওয়া এই নিয়োগকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর।
শনিবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘‘আজ মধ্যরাতের জন্য অপেক্ষা করুন। অ্যাকশন কাকে বলে দেখতে পাবেন।’’ রাজ্যপাল কী ‘অ্যাকশন’ দেখান, তা নিয়ে যখন কৌতূহল তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়, শনিবার দুপুরেই একটি টুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। টুইটে কারও নাম করেননি ব্রাত্য। তবে তিনি রাজ্যপালের কথা উদ্ধৃত করে লেখেন, ‘‘মধ্যরাত পর্যন্ত দেখুন, অ্যাকশন দেখুন।’’ তার পরেই ব্রাত্যের টুইটে বলা হয়, ‘‘সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন রক্তচোষা (ভ্যাম্পায়ার) এসেছে। নাগরিকেরা দয়া করে সতর্ক থাকুন। ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী, ‘রাক্ষস প্রহরের’ জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি।’’