মঙ্গলবার দুপুরে আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, উঠে আসতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গ

১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টো থেকে সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি। মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ। মঙ্গলবার প্রায় দু’সপ্তাহ পরে সুপ্রিম কোর্টে উঠছে আরজি কর-কাণ্ডের মামলা। এখন তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে? তদন্তে নতুন কিছু উঠে এল কি না, জুনিয়র ডাক্তারেরা নিয়মমাফিক পরিষেবা দিচ্ছেন কি না— আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানিতে এই সব প্রশ্নগুলিই ফের ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এক, মঙ্গলবার আলোচনা হতে পারে সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে। পঞ্চম শুনানিতেও তদন্ত প্রক্রিয়া কত দূর এগোল তা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুনানিতে কেন্দ্রীয় দলের থেকে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ দেখতে চান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ফলে ওই ঘটনার তদন্ত কতদূর এগোল, মঙ্গলবার তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিতে পারে সিবিআই।

দুই, জুনিয়র ডাক্তারেরা ঠিক মতো সব পরিষেবার কাজ করছেন কি না, সেই নিয়েও ফের প্রশ্ন তুলতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। গত শুনানিতেও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, জুনিয়র ডাক্তারেরা শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন। বহির্বিভাগ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পরিষেবা দিচ্ছেন না তাঁরা। যদিও তাতে আপত্তি জানান জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। তিনি দাবি করেন, প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তখন প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কেন শুধু প্রয়োজনীয় পরিষেবা কথা বলা হচ্ছে? তা হলে কি সকল চিকিৎসক সব ডিউটি করছেন না? উত্তরে ইন্দিরা জানান, সব জুনিয়র ডাক্তারেরা জরুরি পরিষেবায় রয়েছেন। জরুরি পরিষেবার মধ্যে ওপিডি ও আইপিডি— দুই’ই পড়ে। এর পরেই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং অন্যান্য ক্ষেত্র-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের।

তিন, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ কত দূর এগোল, সেই প্রশ্নও উঠতে পারে। গত শুনানিতেও নয়া ডিউটি রুম এবং শৌচাগার নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত আলো ইত্যাদি বসানোর কাজ কত দূর এগিয়েছে, সে নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। এ নিয়ে রাজ্যের জবাব পাওয়ার পরে সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ শেষ করার সময়সীমাও বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো-সহ সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে রাজ্যকে।

চার, আরজি কর কাণ্ডের পর গড়া ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের কাজ কত দূর এগোলো, মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইতে পারে শীর্ষ আদালত। গত শুনানিতেও এই রিপোর্ট দেখতে চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। মঙ্গলবার ফের প্রশ্ন উঠতে পারে টাস্ক ফোর্সের কাজের অগ্রগতি নিয়ে।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আরজি কর মামলার পঞ্চম শুনানি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তার আগে দু’বার ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৪২টি পক্ষ রয়েছে। তাদের হয়ে দাঁড়িয়েছেন ২০০-র বেশি আইনজীবী। তার মধ্যে রয়েছে অন্যতম প্রধান ন’টি পক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.