ভাই আর তাঁর কাছে নেই। কিন্তু রাখি বন্ধন দিনটিকে সে ভুলতে পারেনি। তাই লাদাখে শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের সমাধিস্থলে গিয়ে তাঁকে রাখি পরিয়ে এলেন বোন শকুন্তলা ওরাং। তাঁর বক্তব্য, দাদা তো আর ফিরে আসবে না। তবে দাদার স্মৃতির উদ্দেশে এই কাজটা চালিয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেই চলে এলেন তাঁকে রাখি পড়াতে।
আগে যেমনভাবে দাদার জন্য রাখির দিন আয়োজন করতেন, এবারও তার কোনও ঘাটতি রাখেননি শকুন্তলা। শকুন্তলা জানান, ‘দাদাকে চাইলে তো আর পাব না ফিরে। দাদার স্মৃতিগুলিকে নিয়ে বাঁচে আছি। দাদা তো নেই। তাই তাঁর মূর্তিতেই রাখি পরিয়েছি।’ তিনি জানান, সকাল থেকে উপবাস করে যেভাবে রাখি পালন হত, ঠিক সেইভাবেই আয়োজন করা হয়। দাদার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিষণ্ণ মুখেই শকুন্তলা জানান, ‘একদিক থেকে খুব গর্ব হচ্ছে যে দাদা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, অন্যদিকে দাদাকে খুব মিস করছি। একটাই তো দাদা ছিল। দাদা প্রতি বছর আসতেন। এখন তো কিছু করার নেই। দাদাকে চাইলেও তো ফিরে পাব না।’ এদিন গত বছরের মতোই গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে শহিদ জওয়ানের মূর্তিতে মালা পরিয়ে মিষ্টি ও রাখি দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন শকুন্তলা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
গত বছর জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের রুখে দিয়েছিল ভারতীয় জওয়ানরা। মারা গিয়েছেন মহম্মদ বাজারের ছেলে রাজেশ ওরাং। রাজেশকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা পরিবার।