মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করেনি কেন্দ্র। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) তরফে জানানো হয়েছে যে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির তরফেই নিজেদের সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আর্জি জানানো হয়েছিল। বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মধ্যে বিবৃতি জারি করে এমনই দাবি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সোমবার বিবৃতিতে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হযেছে, ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিউবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ) এবং ২০১১ সালের ফরেন কন্ট্রিউবিউশন রেগুলেশন রুলসের (এফসিআরআর) অধীনে নিয়ম পালনে ব্যর্থ হওয়ায় গত ২৫ ডিসেম্বর মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এফসিআরএ পুনর্নবীকরণের আর্জি খারিজ করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নিজেদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আর্জি জানায় বলে এসবিআইয়ের তরফে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। শাহের মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নিজেদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আর্জি জানিয়েছিল।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ভদোদরায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখায় জোর করে হিন্দু তরুণীদের ধর্মান্তরণ ও হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় তদন্ত শুরু করে গুজরাত পুলিশ। সেই ঘটনার মধ্যেই মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির তরফে কোনও মন্তব্য করা না হলেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ক্রিসমাসে এই খবর শুনে আমি স্তম্ভিত যে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতে মাদার টেরেসার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। তাদের ২২,০০০ রোগী ও কর্মচারী খাবার ও ওষুধ ছাড়াই পড়ে আছেন। যদিও আইন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মানবিক বিষয়টি আপস করা উচিত নয়।’
সেই বিতর্কের মধ্যে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির রেজিস্ট্রেশন (২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিউবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের আওতায় নথিভুক্ত, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৪৭১২০০০১) নথিভুক্ত বৈধ ছিল। তা পরবর্তীতে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। আরও এফসিআরএ সংস্থার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু মিশনারিজ অফ চ্যারিটির পুনর্নবীকরণের আর্জি খতিয়ে দেখার জন্য কয়েকটি ‘বিরূপ’ তথ্য নজরে আসে বলে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে।