হিন্দু যুবক শচীনের প্রেমে পড়ে পাক বধূ সীমা হায়দার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসার ঘটনায় হৈচৈ শুরু হয়েছে দু’দেশেই। পাক গৃহবধূকে না ফেরালে পাকিস্তানে হিন্দু মেয়েদের উপরের পাল্টা শোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিল বালোচ জঙ্গিরা। এই পরিস্থিতিতে নয়া ঘটনায় শোরগোল পড়েছে সেখানে।
পাকিস্তানের সিন্ধ এলাকায় এক হিন্দু ব্যবসায়ীর তিন মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে ও তাদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার অপহরণকারীদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে তরুণীদের।
সীমা হায়দার কাণ্ডের পর থেকেই ওই অঞ্চলে হিন্দুদের ওপর হুমকি আক্রমণের হার বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর সেই পরিস্থিতিতেই এই ঘটনায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
জানাগেছে, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ধারকি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার হিন্দু ব্যবসায়ী লীলারামের তিন মেয়ে চাঁদনী, রোশনি এবং পরমেশ কুমারী। তিনজনকে অপহরণ করে দুষ্কৃতিরা। তারপর তরুণীদের জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। জাভেদ আহমেদ কাদরী নামে এক পীরের সহায়তায় এই ধর্মান্তকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অপহরণকারীরা প্রত্যেকেই মুসলিম। ধর্মান্তকরণের পর ওই ব্যক্তিদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছেন হিন্দু তরুণীদের।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই ঘটনাকে সীমা হায়দার কান্ডের ফলশ্রুতি বলে মনে করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও হিন্দু তরুণীদের অপহরণ, জোর করে ধর্ম পরিবর্তন ও বিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয় পাকিস্তানে। বারবার অভিযোগ করলেও এই ধরনের ঘটনা থামানো সম্ভব হয়নি। এমনকি পুলিশ প্রশাসনও এই ধরনের ঘটনায় নিষ্ক্রিয় থেকেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু সীমা হায়দার কান্ডের পর এই ধরনের ঘটনা আরো বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সীমা হায়দারকে দেশে ফেরানোর জন্য হুমকি এসেছে। পাক গৃহবধূকে পাকিস্তানে ফেরানো না হলে সে দেশের হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করা হবে বলেও বালোচ জঙ্গিরা হুঁশিয়ারি দিয়েছে।