রবিবার থেকে পর্যটকদের উদ্ধার শুরু হবে সিকিমে, কপ্টার উড়তে না পারলে ভরসা ধসে বিধ্বস্ত সড়কই!

আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ রবিবার থেকেই শুরু করতে চলেছে সিকিম সরকার। শুক্রবার থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন পর্যটকদের আকাশপথে উদ্ধারের ব্যাপারে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। সরকারি সূত্রে খবর, রবিবার থেকে যে উদ্ধারকাজ শুরু হবে, তাতে আর শুধু আকাশপথের ভরসায় না থেকে সড়কপথেও কী ভাবে উদ্ধারকাজ চালানো যায়, তা-ও দেখা হচ্ছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর সিকিমের লাচুং-চুংথামে ১২০০ পর্যটক আটকে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৭০০ পর্যটক বাঙালি। লাচুং আর মঙ্গনের মাঝে সাংকালান সেতু ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। গত অক্টোবরে সিকিমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে সাংকালানের পুরনো সেতু ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় সেনাবাহিনীই বেইলি ব্রিজ তৈরি করেছিল আটকে পড়াদের উদ্ধার করার জন্য। এ বারের বিপর্যয়ে সেই সেতুও ভেঙে পড়েছে। গত দু’দিন ধরে সেতুটি মেরামতির কাজ চলেছে। শনিবার তা সম্পূর্ণ হয়েছে। তাই আর দেরি না করে রবিবার থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। আকাশপথে পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয় কি না, সেটাই প্রথমে দেখা হবে। বৃষ্টির ফলে দৃশ্যমানতা কম আর মেঘ অনেক নীচ দিয়ে যাওয়ার কারণে শনিবার চপারে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি। রবিবারও যদি সেই পরিস্থিতি হয়, তা হলে সড়কপথেই পর্যটকদের উদ্ধার করা হবে বলে ভাবা হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়ার তদারকি করবেন পর্যটনমন্ত্রী শেরিং থেন্ডুপ ভুটিয়া।

সিকিম সরকার জানিয়েছে, বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.