সিভিকদের সরানো হল স্কুল, হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেই তৎপর পুলিশ

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে ষষ্ঠ শুনানির পরেই তৎপর কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবারের শুনানিতে স্কুল এবং হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার নিযুক্তিতে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নিষেধাজ্ঞা এ বার বলবৎ করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিজ এক নির্দেশিকা জারি করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সমস্ত স্কুল এবং হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

কলকাতা পুলিশের সকল ডিসিকে পাঠানো ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শহরের সব স্কুল এবং হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সরিয়ে দিতে হবে। সকল ডিসি এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও পাঠাতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। আরজি কর মামলার শুনানিতে রাজ্যের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন ছিল, ‘‘কী ভাবে সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগ হয়? কোন কোন যোগ্যতার নিরিখে নিয়োগ হয়? নিয়োগের আগে কী ভাবে তাঁদের দেওয়া তথ্য যাচাই করা হয়? কোন কোন প্রতিষ্ঠানে সিভিক ভলান্টিয়ার আছে? সিভিক ভলান্টিয়ারকে কী ভাবে বেতন দেওয়া হয়, কত বাজেট বরাদ্দ করা হয় তার জন্য?’’ এ সব নিয়ে রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘পরের শুনানিতে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানাতে হবে।’’ শুধু তা-ই নয়, প্রধান বিচারপতি আরও বলেছিলেন, ‘‘রাজ্যকে হলফনামায় নিশ্চিত করতে হবে স্কুল, হাসপাতালের মতো কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা যাবে না। এমনকি, কোনও থানা এবং তদন্তের সঙ্গে জড়িত কোথাও সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়নি, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।’’ সুপ্রিম কোর্টের এই নিষেধাজ্ঞার পরেই পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.