দুর্গার পুজোর পর লক্ষ্মীপুজোতেও ফল ও ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। বাজার রীতিমতো আগুন। এই পরিস্থিতিতেও পুজোর আয়োজনে খামতি নেই গৃহস্থের। বারোয়ারি এবং সর্বজনীন পুজোগুলিতেও সাধ্যের মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে। ফি বছরই রাজ্যে বন্যা ও বর্ষণজনিত কারণে দুর্গাপুজোয় ফুলের দাম চড়া থাকে। লক্ষ্মীপুজোতেও তার প্রভাব পড়ে। ফলের বাজারেও চড়া দাম থাকে। এবছরও তার ব্যতিক্রম
ঘটেনি।
পুজোয় কাজে না লাগলেও পেঁয়াজের দাম চড় চড় করে বেড়েই চলেছে। আদা, কাঁচা লঙ্কা কেজি প্রতি ১৫০ টাকা। পাল্লা দিয়ে ফুল কপি, বাঁধা কপি, বিনস, ক্যাপসিকাম, পটল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি দাম রয়েছে।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় ফুলে হাত দিতে গেলেও ছ্যাঁকা লাগছে। শনিবার লক্ষ্মীপুজোয় পদ্মের দাম ৫০ টাকা করে উঠেছে। হলুদ গাঁদা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তিন ফুট সাইজের লাল গাঁদার মালা ৩৫ টাকা, হলুদ গাঁদার মালা ৫০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে। দশকর্মার জিনিসের দামও বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে প্রসাদ বিতরণে। আগে পাত পেড়ে প্রসাদ খাওয়াতো গৃহস্থরা। এবার সেই ছন্দে পতন ঘটল।