রাস্তা থেকে গিটারবাদককে উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সরব হলেন দেশের অন্যান্য শিল্পীরা। দিল্লির রাজপথে বসে গিটার বাজাচ্ছিলেন সেই শিল্পী। ঘিরে দাঁড়িয়ে শুনছিলেন অন্তত ৫০ জন। হঠাৎ ছন্দপতন। এক পুলিশকর্মী এসে নির্মম ভাবে থামিয়ে দিলেন শিল্পীকে। রূঢ় ভাবে তাঁকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বললেন, “কানে কথা যাচ্ছে না?” দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মুগ্ধ শ্রোতাদেরও চলে যেতে বলেন সেই পুলিশ আধিকারিক। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা রাজেশ তৈলং। নিজে তিনি বাঁশিও বাজান। যা দেখলেন তা তাঁকে তাজ্জব করেছে বলেই জানান।
রাজেশের দাবি, ইউরোপের পথে গানবাজনা করে উপার্জন করেন বহু শিল্পী। সেই একই কাজ দেশের কোনও শিল্পী করলে তাঁর এই অবমাননা! ঘটনাটি তাঁকে ব্যথিত করেছে। মর্মান্তিক সেই শিল্পী খেদানোর ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজেশ লিখেছেন, “সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াই আমি। পথে পথে দেখি শিল্পীরা গাইছেন। পশ্চিমের দেশগুলোতে তো বটেই, ইউরোপের গলিতে গলিতে খুবই চেনা ছবি এটা। শিল্পীদের বৈধ লাইসেন্সও থাকে রাস্তায় গানবাজনা করার। আমি বুঝতে পারছি, আমাদের দেশে এটা এক দিনে হবে না। কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ওই পুলিশকর্মী এমন করলেন, তা-ও আমি বুঝছি। আশেপাশে দোকানপাট রয়েছে, সমস্যা করতে পারে কেউ। কিন্তু সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। শিল্পীদের রাস্তায় গাওয়ার অনুমতি দিতে হবে দেখামাত্রই। আমি এটাই উচিত মনে করি।”
অভিনেতা আদিল হুসেইনও রাজেশের শেয়ার করা সেই ভিডিয়ো দেখে প্রতিক্রিয়া জানান। নিজেও সেটি আবার শেয়ার করে লেখেন, “শিল্প সমাজের প্রাণ। তাকে গুরুত্ব দেওয়া আমাদের কর্তব্য। শিল্পীকে হেনস্থা নয়।”
রাজেশ অবশ্য সাধারণ মানুষের কাছেও সেই আর্জি জানান। দীর্ঘ টুইটে সেই ভিডিয়োর নীচেই তিনি লিখেছিলেন, “পথশিল্পীরা শুধু প্রশাসনের কাছেই অবিচার পান এমনটা নয়। সাধারণ মানুষও তাঁদের নিচু চোখে দেখেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে আমি যা প্রতিভা দেখেছি, বা অনেকেই দেখেছেন, সেটা কি অস্বীকার করা যায়? একাধিক কর্মশালায় কাজ করেছি তাঁদের সঙ্গে। আমি বলব, পথশিল্পীরা সম্মান পান, মানুষ হিসাবে তাঁদের গুরত্ব দেওয়া হোক। তাঁরা অত্যন্ত গুণী।”