‘আগুন ধরে যাওয়া বিমান দ্রুত বেগে নেমে আসছিল গ্রামের দিকে, পাইলটের তৎপরতায় বেঁচে গিয়েছি’

মহড়ারত দুই যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষের পরই আগুন ধরে গিয়েছিল। আগুন ধরে যাওয়া বিমান দ্রুত বেগে গ্রামের দিকে নেমে আসছিল। কিন্তু পাইলট সেই অবস্থায় বিমানটিকে নিয়ে গিয়ে পাহাড়গড়ের জঙ্গলের দিকে নিয়ে যান। সেখানেই আছড়ে পড়ে একটি যুদ্ধবিমান। এমনই দাবি করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুরেনা জেলার কেলারসের এক প্রত্যক্ষদর্শী।

ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “বিকট একটা আওয়াজ পেয়ে আকাশের দিকে তাকাতেই চমকে উঠি সকলে। বিশাল একটা আগুনের গোলার মতো একটি বিমান গ্রামের দিকে নেমে আসছিল। হৃদ্‌স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল গ্রামবাসীদের। গ্রামের উপর ওই বিমান নেমে এলে বহু লোক মারা যেত। একটা সময় মনে হয়েছিল আর বোধহয় বাঁচব না। কিন্তু দেখলাম, গ্রামের দিকে নেমে আসা বিমানটি মাটি ছোঁয়ার আগেই বাঁক নিল। তার পর পাহাড়গড়ের জঙ্গলে গিয়ে আছড়ে পড়ল।” নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামবাসীদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন ওই পাইলট, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীর।

শনিবার মহড়ার সময় ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ এবং মিরাজ-২০০০ বিমানের সংঘর্ষ হয়। একটি বিমান রাজস্থানের ভরতপুর জেলার পিঙ্গোরা গ্রামে গিয়ে পড়ে। আর অন্য বিমানটি মধ্যপ্রদেশের মুরেনা জেলার পাহাড়গড়ের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। দু’জন আহত হয়েছেন। দু’টি বিমানই গোয়ালিয়র বিমানঘাঁটি থেকে শনিবার সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ মহড়ায় নামে। ৫০ কিলোমিটার ওড়ার পর দু’টি বিমানের সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এটিসির। রবিবার মিরাজ-২০০০ বিমানটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হয়েছে। অন্য দিকে, সুখোইয়ের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের কিছু অংশ মিলেছে বলে মুরেনা পুলিশ সূত্রে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.