প্রেম করে বিয়ে করেছেন বলে বাড়ির লোক তাঁকে খুন করতে চান। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এমনই আশঙ্কার কথা আদালতকে জানালেন বিশ্বভারতীর এক ছাত্রী। এই অভিযোগে বিস্ময় প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। কোর্টের মন্তব্য, ‘‘তার মানে অনার কিলিং (‘সম্মানরক্ষার্থে’ খুন)!’’
সোমবার আদালত বলেছে, ২৮ জুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তরুণী বাড়িতে ফিরতে আপত্তি করেছেন। পড়ুয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইলামবাজার থানাকে কোর্টের নির্দেশ, কোনও ভাবে যাতে মেয়েটির ক্ষতি না হয়, সেটা দেখতে হবে। তরুণী কোনও সমস্যায় পড়লে জানাবেন থানাকে। আগের নির্দেশ মতো সোমবার তরুণীকে হাজির করানো হয় এজলাসে। কারণ তাঁর বাবা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না।
সোমবার দিনের শুরুতে সরকারি কৌঁসুলি সুমন সেনগুপ্ত আদালতে জানান, তরুণী তাঁর বাবার বাড়িতে ফিরতে চান না। কারণ বাড়ি ফিরলে বাবা তাঁকে খুন করে ফেলবেন বলে তাঁর আশঙ্কা। সরকারি কৌঁসুলি আদালতে দাবি করেন, এর মধ্যে তরুণীর প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে হামলা চালিয়েছেন তাঁর বাবা-সহ কয়েক জন। তাঁকে নৃশংস ভাবে মারধর করা হয়। তরুণীর আবেদন, তাঁর বাবা-মা যাতে কোনও ভাবে তাঁদের বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করতে না পারেন, সেই নির্দেশ দিক আদালত।