ইউরোপের একাধিক দেশের ফুটবল সংগঠকরা আশঙ্কায় থাকেন ফুটবল গুন্ডা বা হুলিগানদের নিয়ে। এ বার তাদের আশঙ্কা আরও বাড়তে চলেছে। বিভিন্ন দেশের ফুটবল গুন্ডারা জোট বাঁধছে। মাঠে আরও সংগঠিত ভাবে ঝামেলা করাই লক্ষ্য তাদের।
ফুটবল গুন্ডারা মূলত কোনও ফুটবল ক্লাব বা দেশের উগ্র সমর্থক। প্রিয় দল হারলে বা কোনও সিদ্ধান্ত অপছন্দ হলেই অশান্তি সৃষ্টি করে তারা। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ইংল্যান্ড, ইটালি-সহ ইউরোপের একাধিক দেশের ফুটবল সংগঠকরা তাদের উৎপাত নিয়ে আশঙ্কায় থাকেন। জোট বেঁধে বড় আকারে হামলা করার তাল ঠুকছে ইউরোপের ফুটবল গুন্ডারা।
কয়েক দিন আগে একটি ম্যাচে রোমা হারিয়েছিল এমপোলিকে। রোমার সমর্থকদের উপর চড়াও হয়েছিল নাপোলি এবং রেড স্টার বেলগ্রেডের গুন্ডা সমর্থকরা। সেই দলে ছিল প্রায় ৫০ জন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত কালো পোশাক এবং মুখ ঢেকে গুন্ডারা চড়াও হয়েছিল রোমার সমর্থকদের উপর। স্থানীয় পুলিশের দাবি, সেই দলে ছিল কয়েকজন সার্বিয়ানও। আবার অন্য একটি ঘটনায় রোমার উগ্র সমর্থকরা ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব ডায়নামো জ়াগ্রেবের সমর্থকদের সঙ্গে মিলে হামলা করেছিল অন্য একটি ক্লাবের সমর্থকদের উপর। এই সব তথ্য উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে। তার থেকেই বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবের গুন্ডা সমর্থকদের জোট বাঁধার ঘটনা উঠে এসেছে। অভিযুক্ত ক্লাবের সমর্থকদের অ্যাওয়ে ম্যাচে নিষিদ্ধ করেছে ইটালির ফুটবল সংস্থা।
ইংল্যান্ডেও এমন দেখা গিয়েছে। ওয়েস্ট হ্যামের এক সমর্থক সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন, জার্মানির ইন্ট্রার্চ ফ্রাঙ্কফুর্টের সমর্থকদের উপর হামলার সময় তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল লাজিয়োর কিছু সমর্থক।
একটি ক্লাবের সমর্থকদের উপর একাধিক ক্লাবের সমর্থকদের সম্মিলিত আক্রমণ ফুটবল মাঠের গুন্ডামির নতুন ধারা বলে মনে করছেন ইউরোপের একাধিক দেশের পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, বড় আকারের অশান্তি সংগঠিত করার জন্যই শক্রর শত্রু আমার বন্ধু নীতি নিচ্ছে ফুটবল গুন্ডারা। নিরাপত্তা কর্মী এবং ইউরোপের ফুটবল সংগঠকদের কপালের ভাঁজ আরও চওড়া হচ্ছে।