আজ, বৃহস্পতিবার আনিস খান কাণ্ডে আবার আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে তলব করা হল ভবানী ভবনে। পুলিশকর্তারা তাঁর কাছ থেকে আরও তথ্য জানতে চান। গতকাল দুই পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারাও আমতা থানারই। ভবানী ভবন সূত্রে খবর, ধৃত হোমগার্ডকে জেরা করে যে তথ্য মিলেছে তার ভিত্তিতে তলব করা হল ওসিকে।
ছাত্রনেতা আনিস কাণ্ডের জাল গুটিয়ে এনেছে সিট। এমনই দাবি করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে। দফায় দফায় তাদের জেরা করা হয়। তাতেই নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে তলব করা হল আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই দু’জন কী ঘটনার দিন রাতে আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিট যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আমতা থানার এই দু’জন শুক্রবার রাতে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। যদিও আমতা থানার পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। সিট সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি আপত্তিকর পোস্ট করেছিলেন আনিস। সেই পোস্ট কেন এবং কী জন্য করা হয়েছে, শুক্রবারই তার খোঁজখবর করতে বলা হয় আমতা থানাকে। দুই কর্তার থেকে বিষয়টি খতিয়ে নির্দেশ পেয়ে থানার ওসি ফোন করেন টহলদারিতে থাকা আরটি ভ্যানের কর্তব্যরত অফিসারকে। গাড়িতে ছিলেন এক এএসআই। ছিলেন হোমগার্ড এবং কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার। জেরায় ফোন আসার বিষয়টি সিট কর্তাদের জানিয়েছেন ধৃত হোমগার্ড ও সিভিক। ধৃতদের দাবি, আনিসের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে থানায় তুলে আনার নির্দেশ এসেছিল ওই টেলিফোনে।
এই বিষয়ে আনিসের বাবা সালেম খান বলেন, ‘ওরা এখানে এসেছিল? এদের আদালতে তুলুক। আরও যারা এসেছিল তাদের সকলকে গ্রেফতার করুক পুলিশ। এমনকী তাদেরকে যারা পাঠিয়েছিল তাদেরকেও গ্রেফতার করা হোক।’ সূত্রের খবর, ওই আরটি গাড়িতে চেপেই টহলদারি পুলিশের দলটি হাজির হয় আনিসের বাড়িতে। আরটি গাড়ি কোন এলাকায় টহলদারিতে যাচ্ছে, তার জিডি এন্ট্রি করতে হয় থানায়। সেই এন্ট্রি দেখেই সংশ্লিষ্ট গাড়িটির ‘লোকেশন’ নির্ধারণ করেছেন তদন্তকারীরা।